Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

করোনা অতিমারি ভারতে শেষের পর্যায়ে! হু-এর প্রধান বিজ্ঞানীর কথা কি তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে?

ভারতে অক্টোবরে শীর্ষসীমা ছোঁবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। গবেষকদের আশঙ্কা যখন বাড়ছে, সেই সময়েই মহামারী ঘিরে আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন। মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে করোনা মহামারী সম্ভবত ‘এন্ডেমিক’ (Endemic) পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই সময়কালকে অতিমারির শেষের দিকের শুরুও বলা যেতে পারে।সাধারণত এপিডেমিক এবং প্যানডেমিক এর পর আসে এন্ডেমিক।

এপিডেমিক সাধারণত যখন কোনো রোগের ভাইরাস কোনো একটি জাতি বা জনগোষ্ঠীর বড় সংখ্যক মানুষকে একসাথে আক্রান্ত করে। এপিডেমিক যখন একটি দেশ বা জনগোষ্ঠী পেরিয়ে বহু দেশ বা জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করে তা হয় প্যানডেমিক। আর এন্ডেমিক হচ্ছে যে পর্যায়ে পৌঁছে একটা জাতি বা জনগোষ্ঠী সেই রোগ বহনকারী ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখে যায়। বলা যায় যেখানে ভাইরাসকে বাকি সময়ের জন্য সঙ্গী করেই রোজকার জীবনে চলতে হয় সেই পর্যায়কে ‘এন্ডেমিক’ বলা হয়।

ভারত অতিমারির (Covid Pandemic) এই শেষের পর্যায়ের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করেন হু এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। এ ব্যাপারে সৌমা বলেছেন, ‘‘আমরা বর্তমানে এন্ডেমিসিটির এমন একটি পর্যায়কালে আছি, যেখানে সংক্রমণের কম বেশি বা মাঝারি মানের প্রভাব দেখা যাবে। কিন্তু কয়েক মাস ভারতে হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ঢেউয়ের মত এক ধাক্কায় লাফিয়ে বেড়ে চলা সংক্রমণ সম্ভবত আর হবে না।’

’যদিও সাথেসাথে তিনি এও জানিয়েছেন পুরোটাই একটা সম্ভবনা নির্ভর, সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানী বলেন, ‘ভারতের মতো এত বড় দেশে, বিভিন্ন ধরণের , নানা জনজাতির মানুষ বসবাস করেন। দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনসাধারণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা আলাদা আলাদা। ফলে এই মহামারীর শেষের পর্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার তথ্যটি সম্পূর্ন একটি অনুমান। তিনি বলেন ‘‘ভারতে নানা ধরনের লোকের বাস।

দেশের নানা প্রান্তে থাকা মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতারও রকমফের রয়েছে। তাই এ রকম দেশে করোনা সংক্রমনের ওঠা পড়া চলতেই পারে। বিশেষত ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব যে সব জায়গায় ছিল তুলনামূলক কম বা যে সমস্ত অঞ্চলে টিকাকরণ হয়েছে সীমিত মাত্রায়, সেখানে আগামী দিনে সংক্রমনের মাত্রা বাড়তেই পারে।

’’আশার কথা তিনি মনে করছেন আগামী ২০২২ সালের মধ্যে করোনা অতিমারির আগের জীবনে ভারতের মানুষ ফিরে যেতে পারবেন। সেই সঙ্গে করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শিশুদের ব্যাপারে তাদের পরিবারের লোকজনকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শই দিয়েছেন তিনি।

Related posts

রাত নামলেই ভূতের আনাগোনা শুরু হয় ! হাইকোর্টের ১১ নম্বর কক্ষে কি রহস্য লুকিয়ে আছে

News Desk

নিথর দিদা! ঘুমোচ্ছে উঠে খেতে দেবে ভেবে দু’দিন মৃতদেহের পাশে বসে রইলো ছোট্ট নাতনি

News Desk

করোনাভাইরাস এর চোখরাঙানির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি, বাড়লো অ্যাক্টিভ কেস

News Desk