আবারও কলকাতার বুকে ভুয়ো সেজে ‘প্রতারণা’। এবার সুদুর আমেরিকার মহাকাশহ গবেষণা কেন্দ্র নাসার এজেন্ট পরিচয়ে! ভুয়ো আইএএস, ডাক্তার, পুলিশ, ট্রেন চালক, আমলা, মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক—সবই দেখেছে এই রাজ্য। এবার সামনে এলো ভুয়ো ‘নাসার এজেন্ট’। এমন ঘটনায় হতচকিত সকলে।
নিউটাউন থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গেছে এয়ারপোর্ট এলাকায় এক মহিলা যার নাম মধুমিতা সাহা নিজেকে নাসা ও ডিআরডিও’র এজেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ খুলেছিল। কথাবার্তায় দারুন স্মার্ট আর প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ওই তরুণীর সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিত হয় হরিয়ানার এক ব্যাক্তি নরেন্দ্র সিং এর। ওই ব্যক্তিই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
কি ছিল তার অভিযোগ? অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর কাছ কয়েক ধাপে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা মধুমিতা সাহা। নিজেকে নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ডি.আর.ডিও. তে সুপার অ্যান্টিক মেটাল ডেলিভারির এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে হরিয়ানা নিবাসী ওই ব্যাক্তিকে মধুমিতা বলেন, কম দামে তিনি সুপার অ্যান্টিক মেটাল নাসায় পাঠান। সেকারণেই বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন তিনি। সেই টাকার লাভের অংশ প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে দেওয়া হবে এবং তাতে নাকি বিনিয়োগকারী দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাবেন। এইভাবে প্রলোভনও দেখান ওই মহিলা। আর এতেই প্রলোভিত হন ওই ব্যাক্তি। নারায়ণপুর থানা এলাকার ডিরোজিও কলেজের নিকটবর্তী একটি স্থানে এই আর্থিক লেনদেন করা হত। কিন্তু টাকা আত্মসাৎ করার পর আর যোগাযোগ রাখেননি ‘নাসার এজেন্ট’ মধুমিতা। এরপরই নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ জানান হরিয়ানার ওই ব্যাক্তি।
অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিস। নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় নাসার ভুয়ো এজেন্ট মধুমিতা সাহাকে। তার বাড়ি দমদমে। তার কাছে পাওয়া গেল নগদ ২২ হাজার টাকা এবং বেশ কয়েকটি নথি। এই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আর প্রতারণা জাল কতদূর ছড়িয়েছে অভিযুক্তকে জেরা করে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।