পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন এ প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি ঘটনা যেখানে আঙ্গুল উঠেছে খোদ ইমরান খানের দলের এক নেতার ছেলের দিকেই। জানা গেছে এক সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে তাকে বিয়ে করেছেন এক নেতার ছেলে।
গায়ের জোরে হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাবালিকা তরুণীদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তকরণ এবং অপহরণকারীদের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মাঝেমাঝেই সামনে আসছে। সংবাদ সংস্থা ডন-এর রিপোর্টে আবারও সামনে এসেছে এমনই একটি ঘটনা। পাকিস্তানে গাজির এক খ্রিস্টান বাসিন্দা যে অপহৃতা নাবালিকার মা তিনি জানিয়েছেন, এলাকারই একটি মুসলিম পরিবার তাদের বাড়ির মেয়েকে অপহরণ করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণের পর জোর করে তাঁর বিয়েও দেওয়া হয়েছে একটি ছেলের সাথে বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরীর মা। পুরো ঘটনায় ইমরান খানের দল তেহরিকে ইনসাফ (Tehreek-e-Insaf) -এর এক নেতার ছেলেও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ। সরকারের সাথে যুক্ত প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক নেতার কারণে পাকিস্তানি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে নাবালিকার পরিবারকেই এই বিষয়টি নিয়ে আর না এগোনোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাবালিকার মা সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া মেয়েকে বুঝিয়ে বাঝিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত। ভুল বুঝিয়ে তার ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম নেওয়ানোর পর তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়েও করেছে। মেয়েটির মায়ের দাবি, যদিও তর্কের খাতিরে গোটাটাই প্রেম ঘটিত কারণে বলে ধরেও নেওয়া যায় তাহলেও নাবালিকা হওয়ায় তাঁর মেয়ের বিয়ে তো বেআইনি। জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ওই কিশোরী গত ৩ অগাস্ট দুপুর থেকেই আচমকা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান।
পুলিশের এই বিষয়ে জিজ্ঞেস কড়া হলে পুলিশ জানান, এটি আদৌ অপহরণ এর ঘটনা নয়, খ্রিস্টান মেয়েটি নিজেই ভালোবেসে নিকটবর্তী মুসলিম যুবকের সঙ্গে চলে গেছে। জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়নি বরং নিজের ইচ্ছেতেই মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সোয়াবিতে কোর্ট ম্যারেজও করে। তবে এই বিয়ের প্রমাণস্বরূপ কোনও আইনি কাগজপত্র তদন্তকারী পুলিশরা পাননি।