মারবার্গ নামের অতিসংক্রামক এক ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের গিনিতে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার গিনোয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মারবার্গ ভাইরাসের একটি একটি মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) এক উদ্ধৃতি দিয়ে। ইবোলা রোগের জন্য দায়ী গোত্রের ভাইরাস এটি।মারাত্মক ভাইরাস ইবোলা-সংক্রান্ত রোগের প্রথম কেস এটি এই অঞ্চলে।ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো প্রয়োজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
বাঁদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় এবং শারীরিক তরলের মাধ্যমে এক দেহ থেকে আরেক দেহে সংক্রমিত হয় মারবার্গ ভাইরাস রোগ। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিরল ২০১৫ সালে অ্যাঙ্গোলাতে সর্বশেষ বড় সংক্রমণের পর। মৃত্যুহার ৮৮ শতাংশ মারণ মারবার্গ ভাইরাসের । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত ২ তারিখ মৃত্যু হওয়া এক ব্যক্তির নমুনা থেকে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে গিনির দক্ষিণ গেকেদু অঞ্চলে।
অনেক দূর পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে আফ্রিকায় হু-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা মাৎসিদিসো মোয়তি বলেন। ফলে, প্রাথমিক স্তরেই একে আটকাতে হবে ।
গিনিতে ইবোলার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবের অবসান ঘটেছে বলে ঘোষণা করেছিল হু মাত্র ২ মাস আগেই। ১২ জন মারা গিয়েছেন গত বছর শুরু হওয়া ওই প্রাদুর্ভাবে। এখন নতুন মারণ ভাইরাসের খোঁজ মিলল সেই দেশেই।
এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রুসেটাস বাদুড়ের গুহা বা খনির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে। একবার মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে, তা ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমিত মানুষের শারীরিক লালারস বা রক্ত, অথবা সংক্রমিত জায়গা বা বস্তুর মাধ্যমে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেয়, রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়, মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, রক্ত বমি ও রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গে।
জেনিভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বিশ্বস্তরে এর বিপদ এখনও কম।
এর কোনও অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত নেই। যদিও কাজ চলছে এই ভ্যাকসিন তৈরীর । ফলে, এক্ষেত্রে চিকিৎসাই ভরসা প্রচুর জল খাওয়া বা আইভি রিহাইড্রেশন এবং নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে ।