দেশে ক্রমাগতই বাড়ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মত ভয়ানক ঘটনা। এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশ যেখানে একটি বিবাহিত মহিলাকে এক সাথে কয়েক জন মিলে গণধর্ষণ করে, যখন মহিলার পরিবার টাকা, গাড়ি ইত্যাদি দিতে ব্যর্থ হয়। বধূ নির্যাতন এবং ধর্ষনের এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের অমরোহায় (Gang Rape Of Married Women in Amroha, UP) । এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শ্বশুরের কাছ থেকে স্বামীর পণ হিসাবে চাই এসইউভি (SUV) গাড়ি আর নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা। এই চাহিদা পূরণ করতে পারায় অসমর্থ হলে স্ত্রীকে কঠিন শাস্তি স্বরূপ করা হয় মারধর। চালানো হয় যৌন নির্যাতন। এমনটাই অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। পাত্রী শ্বশুরবাড়ির ১২ জন সদস্যকে ধর্ষণ এবং মারধরের ঘটনায় সাহায্য করার অভিযোগ এনেছে। ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বছর ২৭ এর ওই যুবতী গণধর্ষণ সহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছে মহিলার শ্বশুর পরিবারের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগ, গত সপ্তাহে তার দেওর ও দেওরের বেশ কিছু বন্ধু তাঁকে গণধর্ষণ করে। তিনি এই ঘটনা তার শশুরবাড়িতে জানালে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা এবং স্বামী তাকে বলেছিল যে যদি তাদের চাহিদা মতন একটি নতুন একটি এসইউভি এবং ৫ লাখ টাকা যৌতুক না এনে দেয় তার বাবা-মা এর কাছ থেকে তাহলে এমনটাই চলতে থাকবে। ওই তরুণী তার দায়ের করা অভিযোগে আরও বলেন, “আমার বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। আমার বাবা -মা আমাকে ইতিমধ্যেই আমার শ্বশুরবাড়ি কে খুশি করতে যৌতুক হিসেবে অনেক কিছু দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট ছিল না।”
ওই মহিলা আরো বলেন, “কয়েক মাস পরে, আমার স্বামী এবং তার পরিবার ৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি বিলাসবহুল গাড়ির দাবি করেছিল। কিন্তু আমি এর বিরোধিতা করি। তারপর তারা আমাকে হয়রানি ও নির্যাতন করতে শুরু করে। যখন আমি গর্ভবতী হই, তখন তারা আমাকে গর্ভপাত পর্যন্ত করতে বাধ্য করে। তারা আমাকে মারধর শুরু করে। অবশেষে আমি আমার বাবা মা এর কাছে চলে এসেছিলাম। কিন্তু আমার স্বামীর পরিবার আমার বাড়িতে এসে আমাকে বুঝিয়ে আমার মন পরিবর্তন করে আমাকে ফেরত নিয়ে যায়। আবারও শুরু হয় অত্যাচার। চলতে থাকে মার ধোর।”
এরপর গত সপ্তাহেই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে বলে ওই মহিলার অভিযোগ। উত্তর প্রদেশের অমরোহা থানার সিনিয়র পুলিশ সুপার এই বিষয়ে জানিয়েছেন, মহিলার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়নি।