সরকারি চাকরি কোনও ভাবেই চেষ্টা করে মেলেনি। বৃদ্ধ বয়সেও পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতেন বাবা ছেলের চাকরি না মেলায়। বছর ৩৫ এর ঈশ্বর রাউত তাতেই প্রতিবেশীদের খোরাকে পরিণত হয়। নানা খোঁটা চলত বেকারত্ব নিয়ে। সাথে বৃদ্ধ পিতার টাকায় বসে বসে খাওয়ার অপবাদ জুরেছিল। বাবা রেলেকর্মী রুপম রাম রাউত। তিনিই সংসার চালাতেন। সব মিলিয়ে অবসাদ জাঁকিয়ে বসেছিল। আর তাতেই সিদ্ধান্ত আত্মহত্যার। যুবক লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে প্রতিবেশীদের জন্যই খোয়াতে হল। ইতিমধ্যে চন্দননগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে গোটা ঘটনায়। অভিযোগ সে প্রায়শই প্রতিবেশীদের কটূক্তির শিকার হত। জানা গিয়েছে, চাকরি না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের কটূক্তি, আর ঈশ্বর ক্রমশই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন মশকরা শুনে শুনে। ভদ্রেশ্বর থানার দ্বারস্থও হয়েছিল তাঁর পরিবার পাড়ার লোকের এই আচরণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাওয়ায়। পাড়ার লোকদের বুঝিয়েও যায় পুলিশ এসে। তবে কোনও লাভ হয়নি তাতেও। রোজই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালে চন্দননগর রানিঘাটে আসে ঈশ্বর ভাগ্নের সঙ্গে। তারপর কিছু টাকা তাঁর ভাগ্নের হাতে দিয়ে তাকে জল আনতে পাঠায় যুবক। এর পর রানিঘাট থেকে লঞ্চের টিকিট কাটেন জগদ্দল ঘাটে যাওয়ার। ভাগ্না সঙ্গে যেতে চাইলে, ওই ঘাটেই তাঁকে বুঝিয়ে বসিয়ে রেখে লঞ্চে চেপে চলে যান ঈশ্বর। লঞ্চ মাঝ গঙ্গায় পৌঁছলেই আত্মহত্যা করেন ঝাঁপ দিয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই বয়া তিনি ধরেননি সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের মাঝিরা বয়া ফেললেও। এমনটাই লঞ্চের মাঝিরা জানিয়েছেন। এরপর দেহ মেলেনি বহু খোঁজাখুঁজির পরেও। আজ বিকালে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা খোঁজার চেষ্টা করে স্পিড বোট নিয়ে দেহ। দেহ মেলেনি শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী। চন্দননগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।