সম্প্রতি রাশিয়ার একটি গ্রামের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। একটি ঘুর্ণিঝড়ের ভিডিও। তবে যেমন তেমন ঘুর্নিঝড় নয়। ঝাঁকে ঝাঁকে মশার ঘুর্নিঝড়। দেখা যায় পূর্ব রাশিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে লাখে লাখে মশার ঝাঁক বেরিয়ে এসে যেন সূর্যকে ঢেকে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার পূর্ব দিকে অবস্থিত পার্বত্য অঞ্চলে ঘেরা কামচাটকা পেনিনসুলা গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হতে থাকে এই ছবি। এই ঝাঁকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মসকুইটো টর্নেডো’ (Mosquito Tornado)!
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল যে মশার বিশাল বিশাল ঝাঁক আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই মশাগুলি ছিল পুরুষ মশা এবং সেই ভাবে স্থানীয়দের জন্য ক্ষতিকর ছিল না কিন্তু এই দৃশ্য স্বভাবতই প্রত্যক্ষদর্শীদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমশীতল স্রোত বইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। স্থানীয়দের কেউ বা গাড়ি চালাতে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন এই ঘটনা , কেউ বা পথ চলার সময়ে সাক্ষী থেকেছেন এই আশ্চর্য দৃশ্যের। এনটোমোলোজিস্ট লুডমিলা লোবকোভা যদিও জানিয়েছেন, যে এই মশারা পুরুষ মশা এবং এরা মানুষের রক্ত খায় না। মানুষ কে হুল ফোটানোর জন্য এরা একত্রিত হয়নি। পুরুষ মশারা এক বা একাধিক মহিলা মশাকে ঘিরে সঙ্গমে করতে চেয়েই এই ভাবে ঘিরে ধরেছে। উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ই জুলাই।
জননের প্রয়োজনে পোকা মাকড়ের এরকম ঝাঁক বেরিয়ে আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু পৃথিবীর জলবায়ুর সাথে এই ধরনের মশা কি অন্যান্য পোকা মাকড়ের ঝাঁক বেরিয়ে আসা সম্পর্কিত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই ধরনের মশা কি পোকামাকড়ের ঝাঁকের আয়তন ভবিষ্যতে বাড়বে বলেই আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। রাশিয়ার একাধিক জায়গায় বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। আর যার কারণেই বিভিন্ন ছোটো পোকা মাকড়ের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ঝাঁক বাঁধার প্রবণতা জননের প্রয়োজনে। যত গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় তৈরী হচ্ছে ততই তা মশাদের জননের সহায়ক হচ্ছে। শুধু তাই নয় এখনই এই বিষয়ে সচেতন না হলে পৃথিবী জুড়ে শুধু মশাই নয় বাড়বে অন্য পোকা মাকড়ের উৎপাতও। এই মশাদের ঘূর্নিঝড় ধেয়ে আসবে দিকে দিকে।