লম্বায় মাত্র ২০ ইঞ্চি। ছোট্ট খাটো শান্ত প্রকৃতির সাদা রঙের এই গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘রানি’। আর এই রানি কে ঘিরেই চূড়ান্ত উৎসাহ বাংলাদেশে। প্রতিদিন তাকে দেখার ভীড় বাড়ছে। আর হবেই বা না কেন! বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আকৃতির বামন গরু রানি এখন বাংলাদেশের নতুন চমক। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার এই রানি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো আকৃতির গরু হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনার কারণে জারি হয়েছে লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যেও রানি নামের বামন গোরুকে দেখতে উৎসাহিত হাজার হাজার মানুষ। এখন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণের আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের, চারিগ্রাম অঞ্চলের শিকড় অ্যাগ্রো লিমিটেড নামক একটি খামারে রয়েছে এই গরুটি। এই গরুটি কে দেখতেই এই গ্রামে এখন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
শিখর অ্যাগ্রো লিমিটেড ফার্মেই জন্মেছে এই বামন গোরু। এক আগে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম গোরু পাওয়া গিয়েছিল ভারতের কেরলে। মনিক্যম নামের সেই ২৪ ইঞ্চি উচ্চতার ও ৪০ কেজি ওজনের সেই গোরুটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গোরু হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন গিনেস বুকে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে মনে করছেন শিখর অ্যাগ্রো লিমিটেড ফার্মের ম্যানেজার হাসান হাওয়ালদার।
প্রজাতির দিক দিয়ে রানি একটি বক্সার ভুট্টি জাতের ভুটানি গরু। সাধারণত মাংস উৎপাদনের উদ্দেশেই এই গোরু পালন করা হয় বাংলাদেশ এবং ভুটানে। শিখর এগ্রি ফার্মের মালিক জানান সাধারণত বেশ বড়সড়ই হয় এই গরু। কিন্তু রানি বামন হওয়ায় সেটির আকার এত ছোট।
বাংলাদেশে ছোট্ট এই গরু রানি কে দেখতে গত তিন দিনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রীতিমত ভাইরাল রানি। সেলফি তুলতেও আসছেন অনেকে।
পশু চিকিৎসক ডঃ ইএম মহম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আবহাওয়ার বা খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির কারণে এমনিতেই গোরুর আকার ছোট হয়। তার উপর রানি বামন।
সাভারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু চিকিৎসক ডা মো. আতিকুজ্জামান বলেন, গরুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা তিনি করেছেন। এটার আর বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
শিখর এগ্রি ফার্মের পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান বলেন, পৃথিবীর সব থেকে ছোট্ট আকৃতির গরু হিসাবে কিছুদিন আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দপ্তরে আবেদন করেছেন তিনি। এরপর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দপ্তর তাদের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছে। গত রবিবার ফর্ম পূরণসহ এই বামন গরু রানীর যাবতীয় তথ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দপ্তরে ইতিমধ্যেই ই-মেইলের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে।