জার্মানি, ইটালি-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ আগেই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে মাস্ক পরার আবশ্যক বিধি তুলে দিয়েছে। এবারে ব্রিটেনও হাঁটলো সেই একই পথে। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পড়া আর বাধ্যতামূলক নয়। মাস্ক পরার কি দরকার তাও এ বার থেকে নিজেকেই বুঝতে হবে। এমনই জানিয়েছে ব্রিটিশ বরিস জনসনের সরকারের।
গত মাসে লকডাউন পুরোপুরি ভাবে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ডেল্টা স্ট্রেনের প্রকোপে কথা মাথায় রেখে তখনকার মতন সেই সিদ্ধান্ত মুলতুবি করা হয়। এ বারে শোনা যাচ্ছে, আসছে ১৯ জুলাই লকডাউন তুলে দিতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। করোনা-বিধিও আর সেই ভাবে মেনে চলার দরকার নেই। তাই মাস্ক পরাও আর বাধ্যতামূলক নয়। এখন থেকে কোনো ব্যাক্তির মাস্ক পরা কে‘ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ’ হিসেবে দেখা হবে বিষয়টিকে।
ব্রিটেনের আবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক এই বিষয়ে জানিয়েছেন আগামী ১৯ জুলাই সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে ব্রিটিশ সরকার। এ বারে ব্রিটিশ সাধারণ মানুষের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় বরিস জনসনের সরকার। তবে দরকার বুঝে মাস্ক পরার দায়িত্ব মানুষকেই নিজে থেকেই নিতে হবে।
ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে আগেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নিয়ম ও আরও অন্যান্য করোনা-বিধি তুলে নেওয়ার কথা নাকি ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রবার্ট জেনরিক এই বিষয়ে জানান, ‘‘করোনা টিকাকরণের সাফল্যে দেশের বিধিনিষেধ কিছুটা কম করতে হচ্ছে। আমরা আস্তে আস্তে পুরনো জীবনে ফিরতে পারছি। কিন্তু সাথে সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে করোনা সব পাল্টে দিয়েছে। করোনার পরের সময়ে আমরা একটা নতুন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে চলেছি। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের বাঁচতে শিখতে হবে। প্রয়োজনীয় সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজের নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।’’
জেনরিক আরও যোগ করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন খুব তাড়াতাড়ি সবটাই জানাবেন। তবে সব কিছুর সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে সরকারের হাতে আসা কোভিড-তথ্যের কি বলছে তার উপরে। প্রশাসন আর কিছু বলে দেবে না, কী করতে হবে, না হবে। নিজেকেই এবার থেকে বিচার করতে হবে। নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।’’