পৃথিবীর সব চেয়ে উচু স্থান হচ্ছে হিমালয় পর্বত। মানুষ এর চলা ফেরা প্রায় নেই বললেই চলে শুধুমাত্র পর্বতারোহী ছাড়া। কিন্তু করোনার সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেলোনা সেই এভারেস্টও। করোনার হানায় সংক্রমিত হচ্ছেন একের পর এক পর্বতারোহী। কিন্তু এই কথা মানতে নারাজ নেপাল সরকার।
করোনার সংক্রমণ বাড়ছে পর্বতারোহী এবং শেরপাদের মধ্যে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এভারেস্টে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জংবু শেরপা নামের এক ব্যক্তি। শারীরিক অবস্থার এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে তাকে পর্বত থেকে হেলিকপ্টারে করে সমতলে নামানো হয় চিকিৎসার জন্যে।
হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার করোনা পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু সেই শেরপা মাত্র এক সপ্তাহ হাসপাতালে থেকেই সম্পূর্ন কোয়ারান্টিনে না থেকেই ফের এভারেস্টে গাইডের কাজে ফিরে যান। সম্পূর্ণ করোনা সময়সীমা পার না করার কারণে, তাঁর শরীরে থাকা করোনার জীবাণু গুলি ছড়িয়ে পড়ে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। আর তারপরেই অভিযাত্রীদের মধ্যে একের থেকে অন্যের মধ্যে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয় এই খবর।
কিন্তু এই খবর স্বীকার করতে নারাজ নেপাল সরকার। তারা বলেছেন যে কেউই করোনায় আক্রান্ত নয়, কিছু অভিযাত্রী ঠান্ডা লেগে অসুস্থ তাদের নিউমোনিয়া হয়েছে। যদিও সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এখনও অবধি ৫৯ জন ব্যক্তি এভারেস্ট অভিযানে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এমনকি সংখ্যাটা আরও বেশি হাতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। করোনা সংক্রমনের জেরে তাই একাধিক পর্বতারোহন সংস্থা এভারেস্টে তাদের আগামী অভিযান বাতিল করেছে। কিন্তু নিজেদের এই ব্যর্থতার কথা নেপাল সরকার কিছুতেই মানতে চাইছে না। কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানানো হয়েছে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু শেরপা জানিয়েছেন, এভারেস্টের প্রতি বেস ক্যাম্পে তিন থেকে চারজন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন। যা যথেষ্ট চিন্তার।