জামশেদপুরের এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে তুলসি কুমার। লকডাউনে বহু মানুষের মতন আর্থিক সমস্যায় পড়ে তুলসী। স্মার্টফোনের অভাবে পড়াশুনা প্রায় বন্ধ হওয়ার যোগাড়। করোনা আবহে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ স্কুল। ক্লাস করার জন্যে দরকার একটি স্মার্টফোন। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তুলসীর বাবা দরিদ্র। তাঁর স্মার্টফোন কেনার মতন আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই রাস্তার ধারে বসে ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে তুলসী আম বেচে টাকা জমানোর চেষ্টা করছিল।
কিন্তু হটাৎ করেই তুলসীর এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তুলসীর কাছে থাকা ১২টি আম , আমেয়া হেত নামে এক ব্যবসায়ী কিনে নেন এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে। মুখে হাসি ফোটে ছোট্ট তুলসীর। কিন্তু কেন এই ভাবে লাখ টাকা দিয়ে আম কেনার কথা ভাবলেন ওই ব্যাবসায়ী?
এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আমেয়া হেত জানান, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছিলেন পঞ্চম শ্রেণীর তুলসি কুমারীর কথা। তিনি ভ্যালুয়েবল এডুটেইনমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। আর্থিক অনটনের জন্য তুলসির পড়াশোনা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তখনই তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন তুলসিকে এই বিষয়ে সাহায্য করবেন। তুলসী কুমারীর বাবা শ্রী শ্রীমল কুমারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন টাকা। ওই টাকা দিয়েই স্মার্টফোন কিনল তুলসি।
এই ঘটনায় সব চেয়ে খুশি ছোট্ট তুলসী। এখন সে স্মার্টফোন কিনতে পারবে। বাকী বন্ধুদের মতন ক্লাসও করতে পারবে। আমেয়া হেত জানান, পড়াশুনার জন্য তুলসির যে উৎসাহ দেখেছিলেন, সেটাই তাঁকে এই সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।