এবার তৃণমূলের দিকে তীর ফিরে এলো আবার, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও, কসবার টিকা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে জড়িয়ে গেল।
ফিরহাদ, সুদীপ-সহ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যুগ্মসচিব পরিচয়ে রয়েছে দেবাঞ্জনের নাম তালতলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তির ফলকে পাওয়া গেছে। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের প্রধান সপ্তর্ষি চৌধুরী সুযোগ বুঝে এবার ওই রবীন্দ্রমূর্তির ফলকের ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে।
ওই ফলকে কী লেখা হয়েছে?
বিতর্ক বাধঁতে শুরু করে যখন দেখা যায় যে ওই রবীন্দ্রমূর্তির ফলক অনুযায়ী সেদিন মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ফিরহাদ, সুদীপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়, চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। তাঁদের নীচেই ফলকে দেবাঞ্জন দেবের নাম রয়েছে। পদ হিসেবে লেখা – যুগ্মসচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
এই ছবি সপ্তর্ষিবাবু ফেসবুকে পোস্ট করে এবং পোস্টে লেখেন, “ ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নায়ক দেবাঞ্জন দেবের নাম রয়েছে তালতলাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি উন্মোচনের ফলকে। আবার সেই নাম যার তার সঙ্গে না। মন্ত্রী জনাব ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তার নামটা জ্বলজ্বল করছে মুখ্য উপদেষ্টা যুগ্ম সচিব, পশ্চিমবঙ্গ। ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির নায়কের কী সম্পর্ক শাসক দলের সঙ্গে?”
বিষয়টি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে টিকা কেলেঙ্কারির হোতা দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে কসবার ওই ভুয়ো টিকাকরণ কর্মসূচিতে যে টিকা দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের নামে, সেখানে টিকার ব্যাচ নম্বর ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ কোনো ভায়ালেই ছিল না । টিকা তৈরির তারিখও ছিল না। তাই কী ছিল ওই সব ভায়ালে, সন্দেহ বাড়ছে তা নিয়ে। তদন্তকারীদের অনুমান যে হাম বা বিসিজির টিকা কিংবা স্রেফ পাউডার গোলা জলও থেকে থাকতে পারে।