Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

উলোটপুরাণ! এই প্রাণীদের মধ্যে পুরুষরা গর্ভবতী হন! এমনও আজব প্রাণী খোঁজ জানেন?

সি-হর্স বর্ণিল হয় ভালোবাসার সময়। প্রেম নিবেদনের সময় রং বদলায় উভয়েই সে নারী কিংবা পুরুষ। সি-হর্সের আরও রহস্য জীবনচর্যায় রয়েছে । স্ত্রী নয়,গর্ভধারণ করে পুরুষই সি-হর্সদের ক্ষেত্রে ।

সমুদ্রের উপরিভাগের অনেক নিচে মূলত অগভীর সমুদ্রে সি-হর্স এর বাসস্থান। নাম সি-হর্স তাতে আর কী হবে,এরা কিন্তু আসলে মাছ। ফুলকা দিয়ে শ্বাস নেয় । মুখটা অনেকটা ঘোড়ার মতো বলে এদের সি হর্স নাম। সমুদ্রের ঢেউ পরতে পরতে যেমন রহস্য লুকিয়ে থাকে , তেমনই নানান বিপ্রতীপ ঘটনা সি-হর্সের জীবনেও রয়েছে ।

একটা বিরাট এলাকা সি-হর্সের নারীরা দখল করে রাখে। যদিও পুরুষদের বেঁচে থাকার পরিসর নিতান্তই অল্প তার তুলনায় । এই স্ত্রী সি-হর্সই পুরুষের কাছে যেচে গিয়ে প্রেম নিবেদন করে । মানুষের মতো ভালোবাসার বন্ধন সুদৃ সি হর্সেরও ঢ়। একবার যার প্রেমে পড়ে একটি স্ত্রী সি-হর্স , জীবনভর তাকেই ভালোবেসে যায়। মানুষ যেমন সেজেগুজে যায় তার মনের মানুষের কাছে যাওয়ার সময় , তেমনি বিভিন্ন রং ধারণ করে স্ত্রী সি হর্সও প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে । সঙ্গিনী পছন্দ হলে শুধুই মন নয়, পুরুষ সি-হর্সও দেহের রং বদলায় ।

the only male creature in world to get pregnant

মিলনের কাল পিরিতির রীতি মেনে আসে। মিলন যাতে মধুর হয়, আরও একপ্রস্ত চলে ভালোবাসাবাসি তার জন্য । শেষমেশ দুই শরীর এক হয় । সি হর্সের দৃঢ় প্রকৃতির লেজ । তাই সি-হর্স থাকে লেজে ভর দিয়ে এই সময়টা ।

গর্ভধারণের পালা আসে ভালোবাসাবাসির পর্ব পরিসমাপ্তি ঘটলে । জীবজগতের সর্বত্র স্ত্রী প্রাণী গর্ভধারণ করে । কেবল সি-হর্স ব্যতিক্রম । সি-হর্সের জগতে গর্ভধারণ করে পুরুষ।

সেও এক অদ্ভুত প্রক্রিয়া। স্ত্রী সি-হর্সের শরীর যখন ডিম্বানুতে ভরপুর হয়ে যায় তখন আবারও আসে তার প্রিয়তমের কাছে সে । সেখানে সে ঢেলে দেয় ডিম্বানু পুরুষ সি-হর্সের পেটে থাকা থলিতে । পেট বড় হতে থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ সি-হর্সের। সঙ্গী যেহেতু ভালবাসার বীজ শরীরে ধারণ করেছে , তাই নিজের কাঁধে তুলে নেয় স্ত্রী-সি হর্স তাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব । এদের খাদ্য ছোট ছোট চিংড়ি জাতীয় প্রাণীই । সেই খাবার স্ত্রী সি-হর্স জোগাড় করে সঙ্গীর মুখে তুলে দেয় । গর্ভধারণের সময় শেষে পুরুষ সি-হর্স নির্দিষ্ট সময়ে সন্তান প্রসব করে ।

চোখের দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতাও অসাধারণ সি-হর্সের । এরা এক সঙ্গে সামনে এবং পিছনে দেখতে পায় । তবে তাতে খুব একটা লাভ হয় না। তার কারণ পরিচয়ে এরা মাছ হলেও, চলাফেরা করতে পারে না মাছের মতো দ্রুত। তাই বিপদ ওত পেতে থাকলেও, সি-হর্সের কিছুই করার থাকে না । এই বিপত্তি শত্রুর সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারাতেই । সি হর্সকে অসময়ে চলে যেতে হয় । তখন হয়তো তার ভালো লাগার সঙ্গিনীর জন্য কোনও পুরুষ সি-হর্স কাদে ।

Related posts

কাটাছেঁড়ায় নিত্যসঙ্গী ব্যান্ড-এইড। এর উদ্ভাবনের সাথে জড়িয়ে আছে এক মজার কাহিনী!

News Desk

OYO রুম বুক করেছিলেন যুবক! চলে যাওয়ার পর খাটের নীচে দেখে স্তম্ভিত হোটেল কর্মীরা

News Desk

রান্না পছন্দ হয়নি, আফগান মহিলাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারল নৃশংস তালিবান জঙ্গীরা

News Desk