খাদ্য সংকটে উত্তর কোরিয়া। বর্তমানে দেশটিতে খাদ্য উৎপাদন বহুল পরিমানে ব্যাহত হয়েছে। এই খাদ্য বিপর্যয়ের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
চীনের উহানে করোনা সংক্রমনের কথা বিশ্বের সামনে আসতেই নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ছিল চূড়ান্ত দেশ উত্তর করে। চীনের থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস কে রুখতে এই সিদ্বান্ত নেয় তারা। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল সাস্থ্য ব্যাবস্থা মহামারী মোকাবিলায় অনুপযুক্ত। তাই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এরপর দীর্ঘ দেড় বছর ধরে উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, এখনও পর্যন্ত একজনও ওই দেশে করোনায় আক্রান্ত হননি।
যদিও তাদের এই কথা মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, বিশ্বের সমস্ত দেশে যেখানে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস সেখানে চীনের সঙ্গে সুদীর্ঘ সীমান্ত থাকা সত্বেও এই দাবি মোটেই ঠিক নয়। দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা লুকাতেই করোনার তথ্য গোপন করা হচ্ছে।
অথচ দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্ত বন্ধ, ঘূর্ণিঝড় এবং ভয়াবহ বন্যায় বেশ বিপর্যস্ত জং উনের দেশ। জানা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর কোরিয়ার কৃষিক্ষেত্রে। দেশটির খাদ্য উৎপাদন বিপুল পরিমাণে ব্যাহত। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
বিশ্ব সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইস্যুটি নিয়ে মঙ্গলবার শাসক ওয়াকার্স পার্টির উচ্চস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আলোচনা হয়। সঙ্কট করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কিন্তু আরও বাধা এসে যাওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
মহামারী সেই ভাবে আঘাত করার আগে গত জানুয়ারিতে পার্টির সম্মেলনেও উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রহণ করা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে বলে জানিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা। সেই সময়েও খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কার কথা জানান তিনি।