চিনা নগরিক হান চুনওয়েইকে মালদা থেকে গ্রেফতার এর পর জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। তদন্তকারীদের দাবি, সে ভারতবর্ষে সাইবার হানা চালানোর মহাপ্রস্তুতি নিতে এদেশে ঢুকেছিল। সে আবার ইংরাজিতে স্নাতক চিনের সেনা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিনা চক্রের আরো সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছেন ।
এরই মধ্যে দেশের একাধিক তদন্তকারী সংস্থা হানকে ৱ্যাপিড জেরা করেছে। তাঁকে আগামীদিনে NIA-ও জেরা করতে পারে । শুক্রবার মালদা আদালতে ধৃতকে পেশ করলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই চিনা নাগরিক ভারত থেকে চিনে তথ্য পাচার করে সাইবার হানা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারতে । চিনের সেনা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞ হান ইংরাজিতে স্নাতক। চিনে বাধ্যতামূলক নয় ইংরাজি পঠনপাঠন । শুধুমাত্র তাঁরাই ইংরাজি পড়েন যারা বিদেশে যান।
সঙ্গে গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে হানের এক চিনা সাকরেদ রয়েছে । অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে সে তার সাহায্যেই সেদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে। তদন্তকারী সংস্থা সেই বন্ধুর খোঁজ চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, সাইবার হানার প্রস্তুতি হিসাবে এর আগে একাধিকবার প্রায় ১,৫০০ সিম কার্ড চিনে পাঠিয়েছে সে ভারত থেকে। গত বছর ৮ কোটি টাকা দিয়ে একটি হোটেল কেনে অভিযুক্ত গুরুগ্রামে।
গোয়েন্দারা আশাবাদী হানকে জেরা করে চিনা সাইবার অপরাধীদের আরও বিস্তারিত খোঁজ মিলবে বলে । সেজন্য তাঁরা তাঁর ল্যাপটপটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ভাষার সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।