নিজেদের দেশের প্রশাসন প্রধানকে প্রত্যেক দেশের মানুষ অত্যন্ত সমীহের চোখে দেখেন। এঁরা হলেন খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি জনগণের কাছে । এই প্রশাসনের হাতেই থাকে দেশ ও জনগণের জীবনের নিয়ন্ত্রণ । দেশ নিয়ন্ত্রণে প্রভূত ক্ষমতা থাকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদের হাতেই, এঁরা দেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হলেও । তাই বেশ কৌতূহল হয় জনগণের এই প্রশাসকদের জীবন, জীবনশৈলী, তাদের রোজগার, এসবের ব্যাপারে।
আমেরিকা, ইউরোপ, ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সাংসদের রোজগার কত হতে পারে,সকলের তার প্রতি আগ্রহ । তবে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য বলেছিলেন যে লেখালেখি করে তিনি যে অর্থ উপার্জন করতেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে ততটা উপার্জন করেন না।
তথ্য অনুযায়ী, বছরে ৪ লাখ ডলার মাইনে পান ও বাড়তি ৫০ হাজার ডলার অন্যান্য খরচের জন্য পান আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। যা ২ কোটি টাকার মতো ভারতীয় মুদ্রায়। যদিও বছরে ১ ডলার মাইনে নেওয়ার কথা বলেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬৮ টাকার মতো।
২০১৫ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী, বছরে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার মাইনে পান আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একজন সেনেটর মাইনে পান বার্ষিক ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ডলার। আমেরিকায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার একজন রিপ্রেজেন্টেটিভের রোজগার। হাউজ অফ স্পিকারের মোট রোজগার ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০০ ডলার।
ভারতের ক্ষেত্রে মাসিক বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা রোজগার রাষ্ট্রপতির। ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন। রাজ্যপালদের প্রতিমাসে আয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীদের মাসিক বেতন একটু কম, ৯৬ হাজার টাকা। বিভিন্ন সাংসদের মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা।
ভারতে নির্বাচনী কেন্দ্রে ৪৫ হাজার টাকা ভাঁটা দেওয়া হয়। অফিসের জন্য মেলে ১০ হাজার টাকা ও প্রতিদিন অফিসে আসার জন্য ২ হাজার টাকা গাড়িভাড়া মেলে। এছাড়াও, ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে ও ঘরভাড়া বিনামূল্যে। এছাড়াও, সাংসদরা সুবিধা পান দেড় লক্ষ ফোন কলের। সাংসদরা সারা ভারতে ৩৪ টি বিজনেস ক্লাসে বিমান ভ্রমণের বিনা খরচে যাওয়ার সুবিধা পান । এর সঙ্গে যে কোনও জায়গায় যাওয়ার সুযোগ মেলে এসি ট্রেনে।
সাংসদের বেতন ভাতা বাবদ গত পাঁচ আর্থিক বছরে ১ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা সরকারের খরচ হয়েছে।