দক্ষিণ এশিয়ায় বজ্রপাতপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে পড়ে বাংলাও। বিগত কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জেলাগুলিতে বজ্রপাতের তীব্রতা বেড়েছে। গত সোমবার বজ্রপাতের কারণে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। শুধু হুগলিতেই মারা গেছেন ২৭ জন।
আর সোমবারের এই বজ্র বিপর্যয়ের পরই উঠেছে এসেছে একটিই প্রশ্ন, বজ্রপাত কি বাড়ছে? ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অবজার্ভিং সিস্টেমস প্রোমোশন কাউন্সিল জানিয়েছে ২০১৯ সালে বাংলায় বাজ পড়েছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭২৮টি। ২০২০ সালে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বজ্রপাতের সংখ্যা। গত বছর বাজ পড়েছে ১৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৮৬টি। এর মধ্যে রয়েছে মেঘ থেকে মাটিতে পড়া বাজ, রয়েছে মেঘের অভ্যন্তরীণ বজ্রপাতও। এমন অবস্থায় বজ্র বিদ্যুৎ দুর্যোগে মানুষের কি করনীয়।
বজ্রপাতের আগাম সতর্কতা দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে কিছু বিষয় মেনে চললে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
দুর্যোগ ঘনিয়ে আসলে রাস্তায় থাকলে বিদ্যুৎ চমকানোর আগে অবশ্যই কোনো একটা পাকা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া নেওয়া দরকার। গাছের নীচে দাঁড়ানো কখনই উচিত নয়। বজ্রাঘাত থেকে বাঁচতে গেলে অবশ্যই দরকার সচেতনতা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এপ্রিম, মে, জুন এই তিন মাস বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের অনেকটাই সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিলে কেউ যেন মাঠে না থাকেন তার প্রচার করা হচ্ছে। আকাশে কালো মেঘ, বিদ্যুৎ চমকানো ও ঝর শুরু হলে সাবধান হতে বলা হচ্ছে।’ সম্প্রতি রাজ্যে দেখা গিয়েছে, মাঠে চাষ করবার সময়, গাছের তলায় আশ্রয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ও ফাঁকা মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’
এছাড়া যদি ফাঁকা মাঠে থাকেন তাহলে বিদ্যুৎ চমকালে তৎক্ষণাৎ হাঁটু ভাঁজ করে মাথা নিচু করে বসুন । হাত দিয়ে কান ঢেকে রাখুন । এভাবে সংকুচিত হয়ে বসলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন ।
কেউ যদি মাঠে বা ক্ষেতে কাজ করছেন বিদ্যুৎ চমকানোর সময়ে , বা জলাজমিতে কাজ করছেন, শীঘ্রই সেখানে থেকে দূরে গিয়ে শুকনো কোথাও দাঁড়ান ।
যদি বাইরে থাকেন ও সঙ্গে মোটরসাইকেল, স্কুটার, সাইকেল ইত্যাদি থাকে তো সেই গুলি স্ট্যান্ড করে দূরে থাকুন । কোনও ধাতব জিনিসের স্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
বজ্রপাতের সময় কোনো গাছ বা বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে থাকবেন না। সাথে থাকা মোবাইল সুইচ অফ করে দিন, প্রয়োজনে দূরে সরিয়ে রাখুন।
বজ্রপাতে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। নিজেকে সুরক্ষিত করুন।