কোভিড থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশজুড়ে। কিছু কিছু রাজ্যে একে মহামারী রূপেও ঘোষণাও করা হয়েছে। রাজ্যে এখনও অবধি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক স্বাস্থ্য দপ্তর। এ বার মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের চিকিৎসায় দেশের রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে এর সঠিক চিকিৎসার কি সেই সম্পর্কে বহু ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ আছে সকলের মনেই ।
তাই মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে কী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয়ক গাইডলাইন, ‘জয়েন্ট ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’ পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত রাজ্যে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র।
কি সেই নির্দেশিকা?
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মিউকরমাইকোসিস রোগীর চিকিৎসায় অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। এই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ টি অ্যাম্ফোটেরিসিন বি লাইপোজোমাল ও অ্যাম্ফোটেরিসিন বি (ডিঅক্সিকোলেট) হিসাবে চিকিৎসায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কোনও রোগীর মস্তিষ্কে যদি মিউকরমাইকোসিস প্রভাব ফেলে, সেই রোগীকে লাইপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাথে সাথে এও বলা হয়েছে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট ওষুধ ব্যবহারের ফলে রোগীর কিডনির সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কিন্তু যদি অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ না পাওয়া যায় কিংবা কোনও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রে পসাকোনাজল ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের স্যালাইন দেওয়া যাবে। পাশাপাশি অক্সিজেন চালালেও কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যত দ্রুত সম্ভব এই নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল কে।