চিকিৎসার সন্ধানে করোনায় আক্রান্ত সদ্যোজাত কে নিয়ে পর পর ৩টি হাসপাতাল ঘুরেছিল তার অভিভাবকেরা। কিন্তু মিলল না ঠিকঠাক চিকিৎসা। ফলস্বরূপ ৬দিনের শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি। মৃত্যু হল তার।
গত ৩১মে মহারাষ্ট্রের পালঘরে এক বেসরকারি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে এই একরত্তি। শিশুটির ওজন স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম হওয়ার জন্য তাকে সেই জেলারই অন্য আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মা ও শিশু দু’জনেরই কোভিড টেস্ট করা হয়। কোভিড অ্যান্টিজেন টেস্টে দেখা যায় বাচ্চাটির মা করোনা নেগেটিভ হলেও করোনায় সংক্রমিত হয়েছে সেই সদ্যোজাত।
সাথে সাথে করোনা চিকিৎসার বাচ্চাটিকে অন্য একটি হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। সেই হাসপাতালটি গ্রামীণ এলাকায় । ভরতি করার পর অভিভাবকেরা লক্ষ করেন সেখানে চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই। এরপরই সদ্যোজাতর অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। শিশুটিকে ভরতি করা হয় সেই জেলারই জহর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ঠিকঠাক চিকিৎসা না পেয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থা ক্রমশই গুরুতর হয়ে উঠতে থাকে ।
শেষ পর্যন্ত নাগপুরে নিয়ে এসে এক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আক্রান্ত শিশুটিকে। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় ২ দিন যেতে না যেতেই থেমে যায় মাত্র ৬ দিনের শিশুটির এই লড়াই। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল হাল। মহারাষ্ট্রের শিশুটির করুণ পরিণতিতে তে আরও একবার সামনে এলো যে তৃতীয় ঢেউয়ের সময় কি অবস্থা হতে পারে এই দেশের।