বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই টুইটারের (Twitter) কর্তৃপক্ষের সাথে কেন্দ্র সরকারের টানাপোড়েন চলছে। সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নীতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল টুইটার (Twitter)। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তৈরী হয় চাপানউতর। এর জের পৌঁছয় আদালত পর্যন্তও। ভারতে টুইটার নিজেদের অস্তিত্ত রাখতে গেলে কেন্দ্রের আইন মেনে চলতে হবে , এই নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত। দিল্লী আদালতের এই নির্দেশের পরই টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতে টুইটার ব্যাবহারকারীর গোপনীয়তা বজায় রাখতে তারা উদ্যোগী হবে।
এরপরই উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর (Vice President of India) ‘ব্যক্তিগত’ অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফায়েড নয়, এই দাবি করে শনিবার সকালে ভেরিফাইড ব্লু টিক (Blue Tick) তুলে নেয় টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। এবং কয়েক ঘণ্টার অন্তরালেই ফের উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু -এর অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক ফিরিয়ে দিল সংস্থা। জানা গিয়েছে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের (IT Ministry) হস্তক্ষেপেই এই ব্লু টিক ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয় ক্ষমা চায় টুইটার। কিন্তু এই ঘটনার পর টুইটারের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে মন্ত্রক।
কেন সরানো হয়েছে ব্লু টিক। টুইটারের তরফে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই- এর পর উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর (Venkaiah Naidu) ব্যাক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টুইট হয়নি। বলতে গেলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রয়েছে তার একাউন্ট। শেষ টুইট করা হয়েছিল গত বছরের ২৩ জুলাই। ৬ মাস ধরে এই অ্যাকাউন্টে লগ ইনও করা হয়নি। আর এই কারণেই ভ্যারিফায়েড ব্যাজ তুলে নেয় টুইটার। তবে এই ধরনের ভুল বোঝাবুঝির জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী টুইটার কর্তৃপক্ষ।