করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জীবনদায়ী ওষুধের তকমা পেয়েছে টসিলিজুমাব। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে খুব কম দিনের মধ্যে দ্রুত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। এর অন্যতম কারণ শরীরে সাইটোকাইন স্টর্ম। আর এই সাইটোকাইন স্টর্ম রুখতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন।
কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় এই ওষুধ আসে বিদেশ থেকে। বিদেশের রস কোম্পানির প্রস্তুত টসিলিজুমাবের দাম পড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। জোগানও প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।
তাই দেশেই তৈরী হতে চলেছে করোনার ওষুধ টসিলিজুমাব। হায়দরাবাদের হেটেরো কোম্পানি কোভিড চিকিৎসায় অতি প্রয়োজনীয় এই ইঞ্জেকশন তৈরি করবে। আর দেশে তৈরি এই টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে কলকাতায়।
এই পরীক্ষা সফল হলে, করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় এই অত্যন্ত কার্যকার এবং জীবনদায়ী ওষুধ দেশেই তৈরি সম্ভব হবে। দেশে প্রস্তুত টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনের দাম কম হবে, জোগানও চাহিদা মতন করা যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন এই টসিলিজুমাবের ট্রায়ালের কো-ইনভেস্টিগেটর এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ বাঙ্গালী চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক। আগামী সপ্তাহ থেকে পিয়ারলেস হাসপাতালে প্রায় ২ মাস ধরে চলবে এই ট্রায়াল।
করোনা আক্রান্তদের সাইটোকাইন স্টর্ম যা তাদের দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল করে দেয়। তা রুখতে এবং রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখার আগে টসিলিজুমাব প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে এই ওষুধের ভীষণ প্রয়োজনীয়তা এবং কম যোগানের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টসিলিজুমাবের খুব ভেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য- এর করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর, তার শরীরে সাইটোকাইন স্টর্ম আটকাতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়েছিল।