লাল, নীল, সবুজ বাহারি রঙের গ্যাস বেলুন, সঙ্গে একটি ফেস্টুন বাঁধা। সোমবার সকালে তা এসে পড়ল নদিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম কৃষ্ণপুর। সেই বেলুন ও ফেস্টুন নিয়ে দিনভর চলে চর্চা। কারণ, ফেস্টুনটিতে লেখা রয়েছে ‘যশোর সরকারি মহিলা কলেজ’। অর্থাৎ বাংলাদেশের কলেজের এই ফেস্টুন। সীমান্ত পার করে তা কীভাবে এতদূর উড়ে এসে পড়ল, তা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী গ্রামের লোকজন কিছুটা আতঙ্কিতও। কোনও বিপদ ঘটেনি ঠিকই, তবে ঘটতেই পারত বলে মন্তব্য স্থানীয় স্কুল শিক্ষকের।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা কৃষ্ণপুর। সেই গ্রামেই এদিন সকালে বেলুনের গোছা উড়ে আসে। সেই বেলুন নজরে আসে স্থানীয় স্কুলপড়ুয়াদের। তারা এমন রঙিন বেলুন পেয়ে খুবই খুশি হয়। কিন্তু এরপরই শিক্ষকরা দেখেন, সেই বেলুনের সঙ্গে ফেস্টুনে ওপার বাংলার কলেজের নাম লেখা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথাও লেখা সেখানে।
কৃষ্ণপুর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কাঁটাতার। সীমান্ত থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের যশোর সরকারি মহিলা কলেজ। সেখানকার ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের ফেস্টুন লাগানো গ্যাস বেলুন উড়ে এসেছে ভারতের ভূখণ্ডে। স্থানীয় এক বাসিন্দা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এত দূর থেকে এল কী করে আমরা তো অবাক হয়ে যাচ্ছি।” আরেক বাসিন্দা দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “অন্য দেশ থেকে উড়ে এল, আতঙ্ক তো কাজ করবেই।”
স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষের কথায়, “আজ হঠাৎ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেখি কিছু বাচ্চা ছোটাছুটি করছে। কিছু বেলুন কৃষ্ণপুরে একটি জায়গায় পড়েছে। আমি স্কুলে আসার সময় দেখি বাচ্চারা ছুটে যাচ্ছে। গ্যাস বেলুনগুলোর সঙ্গে একটা স্মারক ছিল দেখে অবাক হই। বাংলাদেশের কোনও একটি মহিলা কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী সংক্রান্ত লেখা। খুব অবাক হলাম। এটা সীমান্তবর্তী এলাকা হলেও ২০ কিলোমিটার সীমান্ত। বাংলাদেশ সেখান থেকে আরও কিছুটা দূরে। কীভাবে সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে তা এখানে এল তা সন্দেহের। এটা উদ্বেগেরও। কিছু ঘটেনি, তবে হতেও তো পারত।”
সূত্র: টিভি ৯ বাংলা