বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুরুতে খুবই দুর্বল থাকে। এ কারণেই বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক সময় বাচ্চাদেরও বিভিন্ন জিনিসে অ্যালার্জি হতে শুরু করে। দুধ কিছু বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত নয়, আবার কিছু বাচ্চার ডিম থেকে অ্যালার্জি হয়। তাই চিকিৎসকরা এক বছর বয়সের পর শিশুকে ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। এ ছাড়া যখনই আপনি শিশুকে অনেক নতুন খাবার দেবেন, তার ২ ঘন্টা আগে এবং ২ ঘন্টা পরে অন্য কোন নতুন খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এটির দ্বারা বুঝতে পারবেন যে শিশুটির সেই নতুন খাবারে অ্যালার্জি আছে কিনা। কিছু বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি থাকে। ডিম খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আপনার সন্তানের ক্ষেত্রেও যদি একই ঘটনা ঘটে, তাহলে জেনে নিন ডিমের অ্যালার্জির লক্ষণ কী এবং কী করবেন?
ডিমের অ্যালার্জির লক্ষণ
ডিমে অ্যালার্জিযুক্ত শিশুদের চোখ লাল হতে শুরু করে।
অনেক সময় শিশুদের জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে।
ডিমে অ্যালার্জি থাকলে মুখে ও গলায় ফোলাভাবও দেখা দেয়।
ডিম খাওয়ার পর কিছু শিশুর পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া বা বমি হয়।
ত্বকে অ্যালার্জিও হতে শুরু করে, যার কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি হয়।
অ্যালার্জির কারণে অনেক শিশুর হার্টের স্পন্দনও কমবেশি হতে থাকে।
যদি শিশুর মধ্যে এই লক্ষণগুলির কোনটি দেখা যায় তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। অনেক সময় ডিমের অ্যালার্জির কারণে শিশুদের অন্যান্য অ্যালার্জি ও হাঁপানির সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি হলে কী করবেন
1- বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি থাকলে সময়মতো ডাক্তারকে দেখান। এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা অ্যান্টিহিস্টামিন এবং এপিনেফ্রিনের মতো ওষুধ দেন, যা এই সমস্যার সমাধান করে।
2- কখনো কখনো বাচ্চাদের ডিমে অ্যালার্জি হলে ডাক্তাররাও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। শিশুটির লক্ষণ দেখে, ডাক্তাররা ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফাস বা হাম-মাম্পস-রুবেলার মতো ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন।
৩- বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি থাকলে তার খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন। ডিম, ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস শিশুকে দেবেন না। ডিমের অ্যালার্জিও ইমিউনোথেরাপি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।