উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে মৃত্যুর পর দেড় বছর ওই ব্যক্তির লাশ ঘরে রেখে দিয়েছিল পরিবার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কোনো আয়কর কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর কোমায় থাকার কথা বলে তার লাশ ঘরে রাখে পরিবার। স্বাস্থ্য দফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, মৃতদেহটি কঙ্কাল অবস্থায় ছিল।
রাওয়াতপুর থানা এলাকার রোশন নগর কৃষ্ণপুরমে বসবাসকারী বিমলেশ গুজরাটের আয়কর বিভাগের একজন সহকারী অ্যাকাউন্ট অফিসার ছিলেন। গত বছরের ২২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। স্বজনরা তার দেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল। তারপর পরিবার বিমলেশের নাড়ি চলছে বলে শেষকৃত্য করতে অস্বীকার করে। একই সঙ্গে তারা প্রতিবেশীদের জানান, বিমলেশ কোমায় রয়েছেন এবং বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আয়কর দফতরের নথিতে বিমলেশ বেঁচে ছিলেন। গুজরাট আয়কর বিভাগ একটি এসআইটি পাঠিয়ে বিমলেশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এরপর তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দেন।
বিমলেশের মৃত্যুর বাস্তবতা জানতে একটি দল গঠন করেছিলেন সিএমও। ডেপুটি সিএমও ডাঃ গৌতমের নেতৃত্বে দলটি গঠন করা হয়। শুক্রবার এই দলটি বিমলেশের বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দলটি বাড়িতে ঢুকে বিমলেশের দেহ দেখতে পায়, পরে জানা যায় তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। একইসঙ্গে আশ্চর্যের বিষয় হলো, মৃতদেহটি দেড় বছর ধরে বাড়িতে রাখা হলেও কোনো গন্ধ পাওয়া যায়নি। যার কারণে প্রতিবেশীরা সন্দেহও করেননি যে বিমলেশ মারা গেছে।