“আমি ডাইনি নই, আমি একজন সাধারণ মহিলা, আমাকে বিচার বা মৃত্যু দিন, এসপি সাহেব”… রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা এই মহিলা, হাতে ব্যানার নিয়ে জেলার পুলিশ প্রধানের সামনে বিচারের ভিক্ষা চাইছেন। রোববার এসপি অফিসে বিচারের আবেদন জানাতে আসেন। এসপি অফিসের বাইরে ওই নারী জানান, তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাইনি বলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই নারী জানান, থানায় অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে পুরো বিষয়টি ভিলওয়ারা জেলার রায়পুর থানা এলাকার একটি গ্রামের, যেখানে মহিলাকে ডাইনি বলে মারধর করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম রাজস্থান মারওয়ার অঞ্চলের এক ভোপের নির্দেশে ওই মহিলাকে মারধর করা হয় এবং গ্রামে ডাইনি ঘোষণা করা হয়। একই সাথে, এই বিষয়ে পুলিশের মনোভাবও প্রশ্নের মুখে, যেখানে পুলিশ রায়পুর থানায় নথিভুক্ত একটি এফআইআর-এ বিষয়টি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
জানা যায়, ভিলওয়াড়া জেলা ও আশেপাশের এলাকায় বছরের পর বছর ধরে জাদুবিদ্যার প্রথা চলে আসছে, যেখানে মাঝে মধ্যেই নারীদেরকে ডাইনি বলে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরিবার বলল- তুমি একটা ডাইনি:
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ জানিয়ে ভুক্তভোগী মহিলা জানান, মাড়োয়ারের এক ভোপার নির্দেশে তাকে ডাইনি ঘোষণা করা হয়েছিল তার দেওরের ছেলের কারণে। মহিলা জানান, তার দেওরের ছেলে বলেছিল যে কাকি একটি ডাইনি এবং তাদের বাড়িতে যা কিছু সমস্যা ঘটছে তার জন্য কাকি দায়ী। ওই নারী বলেন, ভোপার পরামর্শে বাড়ির লোকজন আমাকে মারধর করে এখন বাড়ি থেকে বের করেও দিয়েছে।
তদন্তের নির্দেশ দেন এসপি
একই সময়ে, মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পরে, ভিলওয়াড়ার এসপি আদর্শ সিধু বলেছেন যে রায়পুর থানা এলাকার একটি গ্রামের এক মহিলা অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, যাতে তিনি বলেছেন তার দেওরের ছেলে তাকে অভিযুক্ত করেছে এবং অন্য আত্মীয়রা তাকে ডাইনি বলে লাঞ্ছিত করছে। এসপি বলেছেন যে মহিলা এই মামলায় পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট নন, তাই আমি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি।