আমাদের সমাজে বিয়ের পর বর-কনেকে গুরুজনের আশীর্বাদ করার প্রথা রয়েছে, যাতে নব দম্পতির নতুন জীবন প্রেম এবং সুখে পূর্ণ হয়। কিন্তু এই পৃথিবীতে নানা জাতির মধ্যে নানা ভিন্ন ধরনের লোকাচার আছে। আজ অবধি আপনারা নিশ্চয়ই অনেক অদ্ভুত ঐতিহ্যের কথা শুনেছেন, কিন্তু আজ আমরা আপনাকে এমন একটি প্রথার কথা বলতে যাচ্ছি, যেখানে বর-কনেকে আশীর্বাদ করার এক অনন্য উপায় রয়েছে, যা শুনে আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু জেনে নিন, কেনিয়ায় এমন একটি উপজাতি রয়েছে যারা বিয়ের পর কনেকে অদ্ভুত ভাবে আশীর্বাদ করে।
এই উপজাতিতে, কনেকে থুথু দিয়ে আশীর্বাদ দেওয়া হয়। এখানে মেয়ের বিদায়ের সময় তার বাবা মেয়ের গায়ে থুথু দিয়ে আশীর্বাদ করেন। আসুন এই প্রতিবেদনে এই অদ্ভুত ঐতিহ্য সম্পর্কে এবং এর পিছনের কারনগুলি সম্পর্কে জানাই:
মেয়ের গায়ে থুথু ফেলে আশীর্বাদ করেন বাবা
কেনিয়া এবং তানজানিয়ার মাসাই নামক উপজাতি রয়েছে, এই উপজাতিতে একটি মেয়ের বিবাহের পরে বিদায়ের সময় কনের পিতা তার মেয়ের মাথায় এবং স্তনে থুথু দিয়ে আশীর্বাদ করেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে এই অনন্য ঐতিহ্য। যদিও, বাবা থুথু দিলে কন্যাও এটিকে আশীর্বাদ বলে মনে করে। এটি এখানকার মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের এক অনন্য উপায়।
মেয়ের মাথা ন্যাড়া
এর পাশাপাশি, যখন এই উপজাতিতে মেয়ের বিয়ে হয় এবং ছেলের পরিবারের সদস্যদের যৌতুক দেওয়া হয়, তখন কনের মাথাও ন্যাড়া করা হয়। তারপর নববধূও তার বাবার সামনে নতজানু হয়ে বাড়ির সকল গুরুজনের কাছে আশীর্বাদ চায়। সেই সাথে আশীর্বাদ প্রদান করে সকল প্রবীণরা কনের মাথায় ও স্তনে থুথু দেয়। এই অদ্ভুত ঐতিহ্যের কারণ হিসাবে বলা হয় যে কনের পক্ষে এটি করা শুভ। তথ্য অনুযায়ী, এই ঐতিহ্য শুধু নবজাতক বধূর সাথে নয়, নবজাতক শিশুদের সাথেও করা হয়।
কনে পাথরে পরিণত হয়
এই মশাই সম্প্রদায়ের লোকেরা বলেন, এখানে থুথু ফেলা সম্মানের। তার বাড়িতে অতিথি এলে সে তাদের হাতের তালুতে থুথু দিয়ে স্বাগত জানায়। এছাড়াও বিয়ের পর বিদায়ের পর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়ের মাথায় ও স্তনে থুথু দিলে মেয়েকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না, কনে এমন করলে পাথর হয়ে যায়।