বিহারের নওয়াদা শহরে ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার।
কাজে খুশি হননি উর্দ্ধতন অফিসার, তাই রেগে গিয়েছিলেন। তাদের কাজে গাফিলতির অভিযোগ হয়েছিল, আর সেই কারণে পুলিশ সুপার পাঁচ পুলিশকর্মীকে থানার লক আপে ঢুকিয়ে দিলেন। রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এমন ঘটনায় বিহারের নওয়াদা শহরে।
ঘটনার শুরু , গত ৮ সেপ্টেম্বর। সূত্রের মতে , পুলিশ সুপার গৌরব মাংলা ওই দিন রাত ৯টা নাগাদ থানায় যান। কয়েক জন পুলিশকর্মীর কোনও একটি ঘটনার তদন্তে গাফিলতি রয়েছে বলে পুলিশ সুপার তোপ দাগেন। এরপরই তিনি রেগে যান আর তারপর পাঁচ পুলিশকর্মীকে লক আপে ঢোকার নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। তবে কি করেছিল তারা এব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি এখনও।
একটি সিসিটিভি তে এই সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে লক আপের মধ্যে পাঁচ পুলিশকর্মীদের। ওই পাঁচ পুলিশকর্মী সাব ইনস্পেক্টর শত্রুঘ্ন পাসওয়ান, রামরেখা সিংহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সন্তোষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিংহ ও রামেশ্বর ওরাঁও। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর তাঁদের বার করা হয় লক আপ থেকে।
পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এই সিসিটিভির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর। তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে।
অবশ্য ওই পুলিশ সুপার এই ঘটনার কথা একেবারেই অস্বীকার করেছেন। মৃত্যুঞ্জয় সিংহ বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি ফোন ধরেননি। মৃত্যুঞ্জয় সিসিটিভি ফুটেজ কারচুপি করারও অভিযোগ করেছেন।