ফোন বিক্রি করা হবে কয়েদিদের। আর তা শুনেই মোবাইল গিলে ফেললো কয়েদি।কিন্তু পেটে প্রচন্ড যন্ত্রনা হতে থাকায় জেলে আর ব্যবসা করা হল না। এরপর অস্ত্রপ্রচার করে ৪টির মধ্যে কয়েদিদের পেট থেকে মোটে ২টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে তিহাড় জেলে।
শুরুতে, জেলের আধিকারিকদের ওই কয়েদি তার পেটে ব্যথার বিষয়টি জানালে তাঁরা বিশ্বাস করেননি। এখানেই শেষ নয় ফোন গিলে ফেলার ব্যাপারটাও বিশ্বাস হয়নি তাদের। কিন্তু তাকে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে পরে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে এন্ডোস্কোপি করানো হয় এবং রিপোর্ট থেকেই জানা যায় যে, আস্ত ফোন গিলে ফেলেছেন ওই কয়েদি, তাও আবার একটা নয়, চারটে।
বন্দির পেট থেকে অস্ত্রোপচারের পর দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার পেটে এখনও দুটি মোবাইল রয়ে গিয়েছে। তার আর একটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বাকি দুটি মোবাইল অপসারণের জন্য বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সন্দীপ গোয়েল তিহাড় জেলের ডিরেক্টর জেনারেল মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন অপরাধের জন্য এই বন্দিকে 1 নম্বর জেলে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি সে প্যারোলে মুক্তি পেলেও অর্থ উপার্জনের জেলের মধ্যেই এই কৌশলটি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে।
আরও বলছেন সন্দীপ গোয়েল, “চারটি 5 সেন্টিমিটারের কম মোবাইল ফোন গিলে ফেলার পর ওই কয়েদি ভেবেছিল যে, জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সেগুলি এড়িয়ে যাওয়ার পরে সেগুলি অন্য বন্দিদের কাছে বিক্রি করবে।” নিরাপত্তা কর্মীরা এই বন্দির পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনও সূত্র বা ধারণা পাননি প্যারোলে ফিরে আসার পর থেকে।
পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী , “ওই বন্দি তার সিস্টেম থেকে মোবাইল ফোনগুলি বের করার জন্য কারাগারে ফিরে আসার পর দুই-তিন দিন যাবৎ সমস্ত ধরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং অবশেষে তার পেটে ব্যথাও শুরু হয়। কারাগার কর্তৃপক্ষকে জীবন নিয়ে ভয় হতেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে সে।”