ট্রেনে দিল্লি থেকে গোরখপুর যাওয়ার পথে এক গর্ভবতী মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর জিআরপি পুলিশ ওই মহিলাকে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে আনে। প্ল্যাটফর্মেই এক সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। আলিগড়ের জিআরপি পুলিশ মহিলাকে মোহনলাল গৌতম মহিলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে চিকিৎসকরা তার কর্ড কেটে আলাদা করেন। মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিন্তু এখন তিনি সন্তান নিতে চান না। মহিলা জানান যে তিনি অবিবাহিত এবং তার আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে তিনি সন্তানের যত্ন নিতে পারেন। এ কারণে সে সন্তানকে নিতে চায় না।
যে মহিলা জন্ম দিয়েছেন তিনি বলেছেন, ‘আমি পুরান দিল্লির বাসিন্দা। আমি বাবার সাথে থাকি। বাবা জানতেন আমি গর্ভবতী। আজ গোরখপুর যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ব্যথা অনুভব করলাম। টাকার কারণে সন্তান নিতে সক্ষম নই। আমি কোনো কাজ করি না। টাকা নেই। কাজ করে না, অবিবাহিত আমি কিভাবে সন্তানের যত্ন নেব? আমার বাড়ির কেউ এই বিষয়ে জানে না। বাড়ির কাউকে বলবো না। এখান থেকে গোরখধামে ফিরে যাব। আমি গোরখধামে থাকি। আর আমি দিল্লিতে বাবার সাথে থাকি। আমার সাথে ট্রেনে কেউ ছিল না। একাই যাচ্ছিলাম।
এ বিষয়ে মোহনলাল গৌতম মহিলা হাসপাতালের সিএমএস রেনু শর্মা জানিয়েছেন, ওই মহিলা দিল্লি থেকে গোরখপুর যাচ্ছিলেন। পথে তার ব্যথা শুরু হলে রেলওয়ে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পথেই ডেলিভারি হয়ে গেল। কিন্তু তাদের কর্ড ভিতরে ছিল। এখানেই কাটা হয়েছিল। এখন সে সন্তানকে নিতে চায় না। তিনি বলেন, আমি অবিবাহিত। সেজন্য সন্তানকে নিতে পারছি না। একজন মহিলা একা সন্তান লালন-পালন করতে পারে না। তিনি বলেছেন যে আমি একা। এ কারণে রাখতে পারছি না। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি সমস্যা। আমরা এই শিশুটির বিষয়ে চাইল্ড হেল্পলাইনকে জানিয়েছি। তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।