চললো নির্বিচারে গুলি। আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল মানুষ। বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে। মেমফিস পুলিশ বলছে সন্দেহভাজন একজন ১৯ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারী এক জায়গায় হামলার সময় ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিংও করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটানো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছে যে বন্দুকধারী মেমফিসে প্রায় এক ঘন্টা ধরে গুলি চালায়, যার কারণে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করেছে।
মেমফিস পুলিশের মুখপাত্র কারেন রুডলফ বলেছেন যে ঘটনাটি ১৯ বছর বয়সী ইজেকিয়েল কেলি দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল, যাকে রাত ৯ টার দিকে হোয়াইটহেভেন থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। আমরা তথ্য পেয়েছি যে সন্দেহভাজন এক জায়গায় গুলি চালিয়েছিল এবং ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিংও করেছিল।
এর আগে, পুলিশ সতর্কতা জারি করেছিল যে একজন ব্যক্তি শহরে একটি হালকা নীল রঙের ইনফিনিটি গাড়িতে চড়েছে এবং বেশ কয়েকটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে সে একটি ধূসর টয়োটা এসইউভি চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, পুলিশ জানিয়েছে।
WMC রিপোর্ট অনুসারে, এর আগে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লোকজনকে বাড়ির ভিতরে থাকতে বলে সতর্কতা জারি করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় হামলাকারী ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিংও করেছিল এবং এই সময় তাকে বলতে শোনা যায় যে এটি আসলেই ঘটছে, নাটক নয়। এর পর হামলাকারী পিস্তল বের করে জনতাকে সতর্ক না করেই গুলি চালায়।
এর আগে, মেমফিস পুলিশ বিভাগ টুইট করে বলেছিল, “শুটআউট -এর অনেক ঘটনার জন্য দায়ী কৃষাঙ্গ লোকটিকে খুঁজছি। আমরা রিপোর্ট পেয়েছি যে তিনি এই হামলার ফেসবুক স্ট্রিমিংও করেছিলেন।