অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেড করলে সতর্ক থাকুন। কারণ নয়ডার সাইবার থানা একটি গ্যাংকে হাতেনাতে ধরেছে যারা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে মানুষকে তাদের শিকারে পরিণত করত। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোককে তার শিকারে পরিণত করেছে এই চক্র। এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আসলে, গাজিয়াবাদে বসবাসকারী GST-এর অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার অশোক কুমার নয়ডা সেক্টর-36 সাইবার ক্রাইম থানায় একটি মামলা করেছিলেন। যেখানে নিজের অভিযোগে তিনি জানান যে তিনি মুদ্রা ব্যবসার নামে ১৫ লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সাইবার ক্রাইম পুলিশ তদন্ত শুরু করলে এই গ্যাং এর পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। এরপর মধ্যপ্রদেশে গিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। যার মধ্যে একজন অভিযুক্ত শোয়েব মনসুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যিনি মূলত মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, এরা ইনকাম সলিউশন নামে একটি কল সেন্টার খুলেছিল। যার মাধ্যমে লোকজনকে ডেকে মুদ্রা লেনদেন করতে বলা হতো। ফাঁদে পড়ার পরে, তারা মেটাট্রেডার্সে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতেন। যাদের প্রবেশাধিকারও এই লোকেরা তাদের কাছে রেখেছিল।
বোকা কাস্টমাররা এমন করতেন
এই চক্রের লোকেরা ফেক মেটাট্রেডার-৫ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করে প্লে স্টোরে আপলোড করেছিল। যেটিতে ডিজিটালি গ্রাহকের মনে হয়েছে তার টাকা বাড়ছে। যার কারণে মানুষ আরো বেশি করে টাকা বিনিয়োগ করত।
একই সময়ে, গ্রাহক যখন তার টাকা এবং লাভ তুলতে চাইত, তখন এই গ্যাং এর লোকজন জিএসটি চার্জ, রূপান্তর চার্জ এবং সেটেলমেন্ট চার্জের নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতেন। একইভাবে নির্যাতিত অশোক কুমারকেও প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রতারণা করেছে এই লোকেরা। এখন পর্যন্ত এই চক্রটি ৫০০ জনকে প্রায় ১৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে।
এই ক্ষেত্রে নয়ডা সাইবার ক্রাইম পুলিশের ইনচার্জ রীতা যাদব বলেছেন যে নির্যাতিত ব্যাক্তির অভিযোগের পরে আমরা তদন্তের সময় ইন্দোরে অভিযান চালাই। যার মধ্যে একজন অভিযুক্ত শোয়েব মনসুরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই লোকেরা কল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্রোকিং কোম্পানী থেকে লেনদেন করা লোকদের ডেটা নিয়ে তাদের কল করে তাদের কোম্পানির মাধ্যমে মুদ্রা লেনদেনের জন্য পৌঁছে যেত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে আর শিকার ৫০০ জন মানুষ। ধৃতের অন্য সহযোগীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।