Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

পাকিস্তানের নাগরিকত্ব লুকিয়ে ভারতেই সরকারি চাকরি মা-মেয়ের, কিভাবে সম্ভব হলো

পাকিস্তানের নাগরিকত্ব লুকিয়ে উত্তরপ্রদেশে শিক্ষকের চাকরি পাওয়া মা-মেয়ে কে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্তের পর রামপুরে কর্মরত মহিলাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বরেলিতে পোস্ট হওয়া মেয়েকেও বরখাস্ত করার প্রস্তুতি চলছে। বেসিক এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট, বেরেলিতে, পুরো পর্বে কিছু অফিসার এবং কর্মচারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, কারণ আধিকারিকরাও স্বীকার করছেন যে বিয়ে এবং নথি যাচাই করা ছাড়া যোগদান করা সহজ নয়। এমতাবস্থায় অধিদপ্তরের অনেক লোকের উপরেও যে কোনো সময় নেমে আসতে পারে শাস্তির খাড়া।

ওই শিক্ষকের পদায়ন ছিল রামপুরে:

বেসিক এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মতে, রামপুরের মহল্লা অতীশবাজনের ফারজানা ওরফে মাহিরা আক্তার ১৯৭৯ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের বাসিন্দা সিবগাত আলীকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর পাকিস্তান চলে যান মাহিরা। তিনি পাকিস্তানের নাগরিকত্বও পেয়েছেন। প্রায় দুই বছর পর দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর মাহিরা পাকিস্তানি পাসপোর্টে ভারতের ভিসা পেয়ে দুই মেয়ে শুমাইলা খান ওরফে ফুরকানা ও আলিমাকে নিয়ে রামপুরে চলে আসেন। চাকরিও শুরু হয় এখান থেকেই।

এলআইইউ তদন্ত করেছে

Up teacher arrested for smashing students face with cake

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৮৩ সালে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও মাহিরা ফিরে না যাওয়ায় রামপুরে মামলা করেন এলআইইউ। ২৫ শে জুন ১৯৮৫ তারিখে, তাকে আদালতের সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য সিজেএম আদালত থেকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিষয়টি হিমাগারে চলে যায়। এদিকে, ১৯৯২ সালের ২২ জানুয়ারি মাহিরা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষকের চাকরি পান।

বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের কাছে পৌঁছেছে

তাকে প্রাথমিক বিদ্যালয় কুমহারিয়া কালাতে পদায়ন করা হয়। বিষয়টি সরকারের কাছে পৌঁছালে তথ্য গোপন ও চাকরি করার অভিযোগে মাহিরাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। যদিও পরে তাকে আবারও বহাল করা হয়। বিষয়টি আবারও দীর্ঘদিন বিচারাধীন ছিল।

বছরখানেক আগে এই মামলা শিরোনামে এসেছিল

বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় এক বছর আগে নজরে আসে মাহিরার মেয়েও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে চাকরি পেয়েছে। এমতাবস্থায় এসপি রামপুরের চিঠির পর তদন্ত শুরু করে বিএসএ বেরেলি। অন্যদিকে, রামপুরে মাহিরার ফাইলও খোলা হয়েছে। এবার নিজেকে বাঁচাতে পারেননি মাহিরা। বিভাগ তাকে বরখাস্ত করে তার চাকরি বন্ধ করে দেয়।

মাহিরার মেয়ে শুমায়েলা খান ওরফে ফুরকানা ভারতে থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। পড়াশোনা শেষে ২০১৫ সালে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষকের চাকরি পান। শুমায়েলাকে বরেলীর ফতেহগঞ্জ পূর্বের মাধউপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। এসপি রামপুরের চিঠির পর বিএসএ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সামনে শুমায়েলা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

যারা নথি তৈরি করেছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে

তবে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেখিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে অধিদপ্তর। আপাতত তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাসপেনশনের আগে তার পুরো বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। এখন তাদের বরখাস্তের প্রস্তুতি চলছে। যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাহিরা ও সুমাইলার আবাসিক সনদ, জাতপাতের সনদ ইত্যাদি তৈরি করেন তাদেরও শাস্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ বিভাগীয় যোগসাজশ ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।

এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গিরওয়ার সিং বলেন, সরকারের নির্দেশে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে মাধোপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শুমায়েলা খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। এসডিএম সদর রামপুরকে চিঠি পাঠিয়ে শুমাইলার স্বাভাবিক বসবাসের শংসাপত্র ইত্যাদি বাতিল করতে বলা হয়েছে। বাতিল হলে, শুমায়েলার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেয়ে অগ্রিম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পাকিস্তানি নাগরিকত্ব থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

Related posts

যুগ যুগ ধরে ব্লেডের অপরিবর্তিত নকশার পেছনের আসল র’হস্য জানেন?

News Desk

দেশে আবারও বাড়ল করোনা সংক্রমণ, আবারও মৃত্যু চার হাজার

News Desk

ইউটিউব দেখে সেক্স পরিবর্তন অপারেশনের চেষ্টা! মর্মান্তিক পরিণতির শিকার যুবক

News Desk