এতবার বিয়ে করেছে কিন্তু কোনদিন হয়নি অথচ পঞ্চম বার বিয়ের দিনে গন্ডগোল বাধলো। শান্তিতে একেবারেই বিয়ে করতে পারলেন না শফি আহমেদ । সে এমনি এক ঝামেলা ঘটলো যে সাধের বিয়ে তার হলই না ? কারণ শফি সাহেবের এই পঞ্চম বার বিয়ের দিনে তার অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তার বাকি সন্তানেরা । তাদের বাবার বিয়ে আটকে দিল আর এই কারণে অশান্তি চরণে ওঠে, পুলিশে শফি সাহেবের সন্তানদের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
লোকে একটা বিয়ে করে হিমশিম খেয়ে যায় । বছর ৫৫-র শফি আহমেদ সেখানে চার স্ত্রী ও সাত সন্তানের পিতা। বুধবার রাতে ভদ্রলোক পঞ্চমবার বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন। কিন্তু বিয়ের মতো একটা শুভ কাজ শেষ হওয়ার আগেই তীব্র অশান্তি শুরু হয়ে যায় মন্ডপে চলে আসে সুফি বাবুর ছেলেরা । স্বাভাবিকভাবে সেখানে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয় গোলমাল বাদে এবং ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে।
বুধবার রাতে বেশ নাটকীয় ভাবে এই কান্ড ঘটে । বাবার বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি সেজে শফির সন্তানরা হাজির হয়েছিল এবং তারা নিজেদের বাবাকে হাতেনাতে ধরে। আসল কাজ সারার আগে কাজি কনের পরিবারকে নিজেদের পরিচয় দেয় শফির সন্তানরা। এরপরই বিবাহবাসরে শোরগোল পড়ে যায়। উষ্ণ বচসা শুরু হয় সন্তানদের কনের পরিবার ও সফির সঙ্গে। এমনকী মারামারি শুরু হয়ে যায় একটু পরে বিয়ের আসরে।
তবে পুলিশকে আগেভাগে বলে রেখেছিল সন্তানরা। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা ঝামেলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে। এবং তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এক পুলিশ আধিকারিক জানান , “ আমাদের বরের ছেলেরা ঘটনার কথা জানায়। আমরা সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং গ্রেপ্তার করি বরকে।” জানা গিয়েছে, পরিবারকে সংসার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন শফি কয়েক দিন ধরে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছেলেমেয়েরা, আবার বিয়ে করতে চলেছেন তাদের বাবা। শফিকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে তারা একথা জানার পরেই। কাজ হল সেই মতোই। ফলে গোলমাল হল শফির পঞ্চমবার বিয়েতে।