উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে এক ব্যক্তি মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি নাবালিকা মেয়েকে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। তারপর তাকে তার সাথে নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটিকে দেখে অনেকের সন্দেহ জাগে। কিন্তু রেলওয়ে স্টেশনেই পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাটি গাজিয়াবাদের সিহানি গেট এলাকার। সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটু ঘুরে আসছে এমন অজুহাত দিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তিনি বাচ্চা মেয়েটির মাথায় সিঁদুর দিয়ে দেয় আর তাকে ভয় দেখিয়ে, ধমক দিয়ে তার সাথে যেতে বলেন। মেয়েটির অস্বীকৃতি সত্ত্বেও সে তাকে জোর করে সঙ্গে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটির পরিচিত কয়েকজন তাকে দেখে ফেলে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের সদস্য ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে রেলস্টেশন থেকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্তের সঙ্গে নাবালিকা মেয়েটিও ছিল। পুলিশ মেয়েটিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আর অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একই সময়ে, মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তারা মূলত বিহারের বাসিন্দা এবং পরিবারের সাথে সিহানি গেট এলাকায় থাকেন। তার মেয়ের বয়স ১২ বছর এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। তিনি বলেছিলেন যে কৃষ্ণ নামে এক যুবক, যিনি বিহারের বাসিন্দা, তিনিও তাঁর পাড়ায় থাকেন। তিনি তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। শুক্রবার কৃষ্ণ তার বাড়িতে এসে তার মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার বাহানায় নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে দুজনেই ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজ করতে থাকে। এসময় একজন পরিচিত ব্যক্তি তাকে জানান, কৃষ্ণ তার মেয়েকে নিয়ে রেলস্টেশনের দিকে গেছে।
পুলিশ ও মেয়ের বাড়ির লোক রেলস্টেশনে পৌঁছতেই চমকে যায়। দেখে মেয়েটির মাথায় সিঁদুর ভরা। পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি জানায়, কৃষ্ণ তাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। এ কথা কাউকে না বলার জন্যও হুমকি দেয় তাঁকে। মেয়েটি জানায়, প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় কৃষ্ণা। বর্তমানে অভিযুক্ত কৃষ্ণ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।