পৃথিবীতে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কখন কি ঘটবে তা আগে থেকে বলা যায় না আর এসব দুর্ঘটনা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিছু দুর্ঘটনা সামান্য ক্ষতি এবং অনেক শিক্ষা দিয়ে এড়ানো যায়, কিন্তু কিছু ক্ষতি মানুষের উপর ভারী হয়। অনেক সময় অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এমনকি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যদি আমরা বিমান দুর্ঘটনার কথা বলি, তাহলে এমন ঘটনা ঘটে যে তা এড়াতে বিমানে ওঠার সময় থেকেই অনেক চেকিং করা হয়। এমনকি ছোট জিনিস, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, এমন কিছুও বিমানে বহন করার অনুমতি নেই। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের মূর্খতার কারণে এমন অপকর্ম করে যার ফল অনেককেই ভোগ করতে হয়।
আজ থেকে বারো বছর আগে একই রকম এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এতে মোট কুড়ি জন প্রাণ হারায়। বলা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার কারণ ছিল একটি কুমির, যাকে বিমানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বিমানটি যখন উড্ডয়ন করে, তখন এই কুমিরটি ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে এবং বিমানের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই কারণে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং এতে অনেকে মারা যায়।
২৫ শে আগস্ট ২০১০ সালের এই ঘটনাটি একটি অদ্ভুত দুর্ঘটনাই বলা যায়। যখন ফিলায়ার লেট এল-৪১০ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। এই বিমানে কোন বিস্ফোরণ বা কোন প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না, কিন্তু এর পরেও বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। অনেকের মতে, বিমানের জ্বালানি না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পরে যা সত্য বেরিয়ে আসে তা হল একটি কুমির বিমানে ঢুকে পড়েছিল। এই কুমিরটি সেখানে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল, যার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনাটি আজও পৃথিবীর একটি আশ্চর্য দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়।