মা নিজের সন্তানকে নিজের সবটা দিয়ে রক্ষা করে। এমন অবস্থায় মায়ের প্রতিচ্ছবিকেই বিব্রত করে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদে থেকে। যেখানে খুনের সুপারি দিয়ে নিজের ছেলেকেই খুন করলেন এক মা। কিন্তু কেন কোনো মা এমন করবে? কারণটা বেশ চাঞ্চল্যকর!
জানা গেছে, মদের নেশায় পরিবারের সদস্যদের মারধর করত ছেলে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর গোটা বিষয়টি জানা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত মা সহ তিন অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ই আগস্ট নান্দেদ জেলার বারাদে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। যার পরিচয় সুশীল নামে। যিনি গীতানগর এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ হত্যা ও আত্মহত্যার সম্ভাবনার মামলা রুজু করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নিহত সুশীলের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পরে পুলিশ হত্যা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
ভাড়াটিয়াকে দেওয়া হয়েছিল খুনের সুপারি
তদন্তের সময়, পুলিশ মৃত সুশীলের বাবা-মায়ের দুই ভাড়াটিয়া রাজেশ গৌতম পাতিল এবং বিশাল দেবরাও ভগতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের বক্তব্যে কিছু অসংগতি পাওয়া যায় এবং পুলিশ কঠোরভাবে জেরা করলে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে এবং জানায় যে সুশীল মদ্যপানে আসক্ত ছিল। মা ও বাবাকে মারধর করত। বারবার বোঝানো সত্ত্বেও মারধর বন্ধ করেনি সুশীল। এই কারণেই খুন করে তাকে।
বলে, মদ খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করতে থাকতো সুশীল, না দিলে বাবা-মাকে মারধর করত। এই রোজ রোজকার অশান্তিতে বিরক্ত হয়ে মা শোভাবাই তার ছেলে সুশীলকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুই সুপারি খুনিই সুশীলকে কোনো এক অজুহাতে এলাকা থেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এই ঘটনায় বরাদ থানার অফিসার শিবরাম তুগাভে জানান, ১৪ আগস্ট সুশীল নামে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। যখন তদন্ত করা হয়, তখন দেখা যায় যে মা ছেলের মারধরে বিরক্ত হয়ে তার দুই ভাড়াটিয়া রাজেশ গৌতম পাতিল এবং বিশাল দেবরাও ভগতকে পানের পাতা দিয়ে ছেলেকে হত্যা করেছিলেন। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আজ তাদের আদালতে হাজির করা হবে।