হরিয়ানার রেওয়ারিতে ২০ দিন আগে মৃত অবস্থায় পাওয়া রিঙ্কির মৃত্যুর রহস্য ফাঁস হলো প্রাপ্ত সুইসাইড নোট থেকে। আত্মহত্যার বিষয়ক নোটে তিনি গ্রামের এক যুবকের তাকে বন্ধুত্ব করার জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। বাবার অভিযোগে কাশৌলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি রেওয়ারির কাসাউলা থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের। গত ২৮ জুলাই ওই গ্রামেরই খাল থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়ে রিঙ্কির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় পা পিছলে খালে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও এখন সুইসাইড নোট থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেক রহস্য। নিহত রিঙ্কির বাবা সুভাষ জানান, একদিন তিনি ঘর পরিষ্কার করছিলেন। তখন গদির নিচে রিঙ্কির লেখা দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেখানে রিঙ্কি তার মৃত্যুর পুরো কাহিনী লিখেছেন। সুইসাইড নোটে লেখা আছে, গ্রামে বসবাসকারী ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি আসা-যাওয়ার সময় তাকে উত্যক্ত করত।
অভিযুক্ত বলওয়ান তাকে বন্ধুত্ব করার জন্য চাপ দিচ্ছিল, পাশাপাশি ছুরি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছিল। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে কাসৌলা থানায় বলওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা সুভাষ। কাসৌলা পুলিশ বলওয়ানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও সুইসাইড নোটটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, বলওয়ান সরকারি চাকরি করেন।
সুইসাইড নোটে তরুণী নিজের যন্ত্রণা লিখেছে, লেখা আছে ‘বাবা আমাকে ক্ষমা করুন। বাবা আমার দোষ না। আমার মায়ের যত্ন নিও। বাবা আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এসবের মধ্যে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। আমি তোমাকে সব বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি কানওয়ারকে নিতে গিয়েছিলে। সম্ভব হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি তোমাকে ভালোবাসি পাপা জি এবং মামি জি’। দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে একইভাবে নিজের কষ্টের কথা জানিয়েছেন রিঙ্কি।
এ ক্ষেত্রে রেওয়ারির ডিএসপি হংসরাজ জানান, কয়েকদিন আগে খালে একটি মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। এতে পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়েটির পা পিছলে খালে পড়ে গেছে। যার ভিত্তিতে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এখন একটি সুইসাইড নোট পেয়েছেন মৃত মেয়ের বাবা। যেখানে গ্রামের বলওয়ান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটির উপর বন্ধুত্বের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সুইসাইড নোটটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারাই দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।