প্রেম তো প্রেমই হয়। তা সে কোনো বয়স , বাঁধা বা উচু নিচু মানেনা। কিন্তু মাঝেমধ্যে প্রেম সংক্রান্ত এমন একটা কাহিনী সামনে আসে যে অবাক হতে বাধ্য হন নেটিজনরা।
বিহারের খাগরিয়ায় এমনই এক অনন্য প্রেমের গল্প সামনে এসেছে। এখানে মেয়ে নৃত্যরত দুই যুবক নিজেদের মধ্যে প্রেমে পড়ে যান। এরপর দুজনেই বিয়ে করেন। এর পর দুই ছেলের মধ্যে একজন পুরুষ শাড়ি পরে, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে অন্য ছেলের বাড়িতে পৌঁছে নিজেকে তার স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করে। এরপর ছেলেটির পরিবার দুজনকে আলাদা করে শাড়ি পরা ছেলেটিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। বলা হচ্ছে, পূর্ণিয়ার একটি মন্দিরে তাদের দুজনের বিয়ে হয়েছিল। ঘটনাটি বলহা পঞ্চায়েতের ঝামতা গ্রামের।
জানা গিয়েছে, জেলার বাখরি ব্লকের বুধৌরা গ্রামের বাসিন্দা পৃথ্বী সাদার ছেলে আংরেজ কুমার ওরফে অনন্ত, শাড়ি পরে সিঁদুর লাগিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চালিতার সাদার বাড়িতে পৌঁছান। আংরেজ কুমার জানান, রূপেশ সাদা তাকে ১০ দিন আগে বিয়ে করেন।
চিল্লিটার সাদার ছেলে রূপেশ সাদার আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। এখানে উভয় যুবকের সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, উভয়েই পেশায় নৃত্যশিল্পী। তারা মেয়ে সেজে স্টেজে নাচ করে। উভয়েই জীবিকা অর্জনের জন্য এই নাচ করে। এতেই তাদের সংসার চলে। নাচতে নাচতে দুজনেই প্রেমে পড়ে যান। এরপর দুজনেই পালিয়ে গিয়ে পূর্ণিয়ার মন্দিরে বিয়ে করেন।
মেয়েদের নাচ করে সংসার চলে
একইসঙ্গে রূপেশ ও আংরেজ কুমারের বিয়ে প্রসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, যুবকরা মেয়ে সেজে নাচ করে। বিয়ের অনুষ্ঠানে এই ধরনের নাচের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারকে লালন-পালন করেন। একদিন এক অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতে দুজনের প্রেম। এরপর পরিচয় ঘনিষ্ঠতায় বদলালে বাখারির ওই যুবক শাড়ি পরে অপরজনের বাড়িতে পৌঁছয়। এরপর লোকজন গুঞ্জন শুরু করে যে দুজনেই বিয়ে করেছেন। স্বজনরা জানান, ছেলে দুটি আলাদা হয়ে গেছে। এলাকায় সমকামী বিয়ে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা চলছে।