তার বিরুদ্ধে উঠেছিল পণ সংক্রান্ত ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তারপর থেকেই আদালতের নির্দেশে জেলে দিন কাটছিল তার। কিন্তু নিজের এমন অবস্থা মানতে পারছিলেন না ঐ বন্দী। দিনের পর দিন কারাগারে অবরুদ্ধ থাকতে থাকতে সম্ভবত মানসিক অবসাদ গ্রাস করে নিয়েছিল তাকে। তাই বিরক্তবন্দী নিজের সেলের মধ্যেই ঘটিয়ে ফেললেন মারাত্মক দুর্ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের একটি কারাগারে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বন্দি। কারাগারে ফাঁসির খবর পাওয়া মাত্রই হুঁশ উড়ে যায় জেল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তড়িঘড়ি করে কারা প্রশাসন সিটি ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানায়। এরপর সিটি ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে পৌঁছালে বন্দির নিথর দেহ তার সেল থেকে বার করে আনা হয়। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করাচ্ছে। মামলার তদন্ত চলছে।
তথ্যমতে, জেলা কারাগারে ফাঁসির আসামি নিহত শৈলেশ কুমার গুপ্ত যৌতুক সংক্রান্ত হত্যা মামলায় গত ৪ মাস ধরে কারাগারে বন্দী ছিলেন। বন্দী শৈলেশ গুপ্ত বুধবার বিকেলে ব্যারাকের স্থানে তৈরি টয়লেটের বাইরে বারান্দায় বেরিয়ে আসা অংশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় কারাগারে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয় সেই কথা বলাই বাহুল্য।
কারা প্রশাসনের খবরে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা খতিয়ে দেখেন। তার সামনে গলার ফাঁস খুলে লাশ নামিয়ে আনা হয়। খবর পেয়ে সদর বাজার থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কারাগারে পাঠায়। এই মামলায় সিটি ম্যাজিস্ট্রেট আশিস কুমার সিং বলেছেন যে বন্দী শৈলেশ গুপ্ত যৌতুকের জন্য হত্যার দায়ে গত ৪ মাস ধরে জেলে ছিলেন। নিজের টয়লেটে নিজের গামছা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারাগারের মধ্যে বন্দি থাকা অবস্থায় এইভাবে কোন বন্দীর আত্মহত্যা প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে অন্যান্য বন্দীদের মধ্যেও।