উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে নাবালিকা হিন্দু মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের বিয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। উন্নাওয়ের গঙ্গাঘাট কোতোয়ালি এলাকায় বসবাসকারী এক নাবালিকা কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বিয়ে দেওয়ার জন্য এক মুসলিম মহিলার চাপে মঙ্গলবার গভীর রাতে এক মৌলানা মেয়েটির বাড়িতে পৌঁছান। যাইহোক, মৌলানা যখন জানতে পারে যে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই হিন্দু, তিনি বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান, কিন্তু তার উপর চাপ সৃষ্টি হলে তিনি তা করতে শুরু করতে বাধ্য হন।
মৌলানা যখন হিন্দু ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য দুয়া পাঠ করছিলেন, তখন হিন্দু নাবালিকা মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে হিন্দু সংগঠন ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তোলপাড় সৃষ্টি করে। হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশও এসে সবাইকে হেফাজতে নেয়। বর্তমানে পুলিশ সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুধু তাই নয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজনও দীর্ঘ সময় থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করে। এভাবে মধ্যরাত পর্যন্ত থানার বাইরে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
বলা হচ্ছে, ওই এলাকায় বসবাসকারী ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছেছিল যুবক। গভীর রাতে বিয়ের জন্য মৌলানাকে ডাকা হয়। মৌলানা বিয়ে করাতে অস্বীকৃতি জানালেন কারণ তারা দুজনই হিন্দু, আর তিনি নিকাহ নামা পরিয়ে বিয়ে করান। কিন্তু চাপের মুখে তাকে দুয়া পাঠ করতে হচ্ছিল। তবে, তখনই হিন্দু সংগঠনগুলি পৌঁছে যায় এবং পুলিশও পেছন থেকে চলে আসে। পুলিশ ও হিন্দু সংগঠনকে দেখেই তোলপাড় শুরু হয়। হিন্দু মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে হিন্দু সংগঠনের লোকজন।
যদি নানান সূত্রের কথা বিশ্বাস করা যায়, তাহলে সেগুলি মতে নাবালিকাকে লালন-পালন করেছে এক মুসলিম মহিলা। ওই মুসলিম মহিলা দ্বারা মেয়েটিকে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আপাতত পুলিশ উপস্থিত লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে কি কারণে ওই নাবালিকাকে বিয়ে করা হয়েছে তা জানা যায়নি। অন্যদিকে মেয়েটির বাবার তরফে মুসলিম মহিলা ও এক মুসলিম পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।