কাউকে হারানো পরিবারের জন্য বড় ক্ষতি। এটার ক্ষতিপূরণ কোনও ভাবেই করা যায় না. প্রাচীনকালে, বিশেষ করে মিশরে, মমির ধারণা বহুকাল ধরেই ছিল। এতে মৃত্যুর পর মৃতদেহে বিশেষ ধরনের প্রলেপ দেওয়া হতো। এ কারণে শরীরে পচন ধরতো না। এটা বিশ্বাস করা হতো যে মৃত্যুর পরে মৃত ব্যাক্তি আবার জীবিত হতে পারেন। এ কারণে মরদেহটি সংরক্ষণ করা হতো। পরবর্তীকালে সমাধি খননকালে প্রায় আট হাজার মমি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দুই বছরের রোজালিয়ার মৃতদেহ। এটি ইতালির উত্তর সিসিলিতে পালেরমোর ক্যাপুচিন ক্যাটাকম্বসে (Capuchin Catacombs of Palermo) সংরক্ষিত করা হয়েছে।
রোজালিয়ার মমি পর্যটকদের জন্য প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। কথিত আছে যে এই মমিটিকে যারা দেখে তাদের দিকে সে চোখ পিটপিট করে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তা দেখতে আসে। এর কারণ কী, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু মানুষ নিশ্চয়ই মমির সৌন্দর্য দেখতে আসে। শিশুটির মমিকে দেখে মনে হচ্ছে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরাও তার পলক ফেলার তত্ত্ব পরিষ্কার করেছেন।
অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছিল রোজালিয়ার:
মৃত্যুর বিষয়ে, বলা হয় যে শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মারা গেছেন। রোজালিয়া তার জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা মমিটিকে রক্ষা করেছিলেন। এখন এটি ইতালিতে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। একশ বছর পরও এতটাই নিরাপদ যে মনে হয় মেয়েটি কবরে শুয়ে আছে। তার মরদেহ রাখা আছে কাঁচের কফিনে। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এটি দেখতে আসেন।
রোজালিয়ার মমি সম্পর্কে বলা হয় যে সে পর্যটকদের দিকে চোখ পিটপিট করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব আলোর খেলা। আদতে ওরকম কিছুনা। মমির উপরের আলো এমনভাবে ফেলা হয়েছে যাতে মমির চোখ একটি কোণ থেকে খোলা দেখা যায়। জানিয়ে রাখি, রোজালিয়ার মৃতদেহ যে জায়গায় রাখা হয়েছে, সেখানে আরও প্রায় আট হাজার মমি রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৩টি কোনো না কোনো শিশুর মমি। অনেকেই এখন শুধু হাড়ের কাঠামোতেই রয়ে গেছে। কিন্তু রোজালিয়ার মমি এখনও নিরাপদ।