স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যত মজবুত হয়, সেটি যে সুতোয় বাঁধা থাকে সেটা ততই সূক্ষ্ম হয়। এই সম্পর্কের মধ্যে সামান্য ফাটল দেখা দিলে ব্যাপারটা আরও খারাপ হয়ে যায়। এমনকি চীনে একজন মহিলা যখন জানতে পারলেন যে তার স্বামী অন্য কোনও মহিলার সাথে সম্পর্কযুক্ত, তখন তিনি হতবাক হয়ে গেলেন। এর পর ওই নারী যে পদক্ষেপ নিলেন, তা সাধারণত কেউ শুনতে পান না। এই মজার উপাখ্যানটা শুনুন তাহলে।
সম্প্রতি চীনের আদালত একটি অদ্ভুত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। নারীর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক আইনত বৈধ না হওয়ায় এক নারীকে তার স্বামীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন আদালত। শুনতে আশ্চর্যজনক হলেও চীনে এক নারী তার সতীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনেক টাকাও আদায় করেছেন।
চীনের এক মহিলা তার স্বামীর সাথে লিভ ইন আ রিলেশনশিপ থাকা মহিলার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মহিলা ওই নারীকে তার স্বামীর দেওয়া সমস্ত উপহার ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। লিয়াওনিংয়ের ঝুয়াংহে পিপলস কোর্টে, লি নামের একজন মহিলা এই মামলা করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে তার স্বামীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৮ সালে, তার স্বামী ওয়াং একজন মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করেছিলেন। লি মাত্র কয়েক বছর আগে এই বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন এবং আরও জানতে পেরেছিলেন যে স্বামীও সেই মহিলার জন্য প্রচুর অর্থও ব্যয় করেছেন। এমনকি স্বামীর এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে ১০ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে লির স্বামী অন্য নারীকে ২১৭,৭০০ ডলার স্থানান্তর করেছেন। এমনকি তিনি ১৬ কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট এবং একটি বিলাসবহুল গাড়িও দিয়েছেন। আদালতে, ওই মহিলা অবশ্য বলেছিলেন যে তার প্রেমিক বিবাহিত হওয়ার বিষয়ে তার কাছে কোনও তথ্য নেই এবং সে তাকে যে অর্থ দিয়েছে তা সন্তানের লালন-পালনের জন্য ছিল। আদালত বলেছে, বিয়ের পর অন্যকে না জানিয়ে দম্পতির সাধারণ সম্পত্তি থেকে কিছুই নেওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পরা সেই মহিলাকে ৫৬০,০০০ ডলার অর্থাৎ ৪০ মিলিয়ন রুপি লিকে দিতে হবে। তবে, আদালত অন্য মহিলাকে তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য একটি পৃথক মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে।