উত্তরপ্রদেশের উন্নাও থেকে একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে, যেখানে স্ত্রী তার মাতাল স্বামীর অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মহিলা একটি নোট রেখে গেছেন, যাতে লেখা হয়েছে মেয়েকে পুলিশ অফিসার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বপ্ন অপূর্ন রেখে যাওয়ার জন্য তিনি দুঃখিত। তার মৃত্যুর জন্য স্বামীকে দায়ী করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মেয়েকে স্বামীর কাছ থেকে দূরে রাখতে লেখা হয়েছে। এ ছাড়া স্বামীর কঠোর শাস্তির আবেদন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে মাতাল স্বামী প্রতিদিন স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে উত্ত্যক্ত করত। মায়ের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে পুলিশে ভর্তি করাবে, কিন্তু তা পূরণ হয়নি। মাকে ফাঁসে ঝুলতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেয়ে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেম করতে পাঠায়। স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মেয়ে জানায়- বাবা মাকে মেরেছে, তারপর ফাঁসি দিয়েছে
পুলিশ জানায়, উন্নাও সদর কোতোয়ালি এলাকার মহল্লা পুরানী বাজারের বাসিন্দা মোহিত গুপ্তার বিয়ে হয় ২০১৫ সালে আরাধনা গুপ্তার সঙ্গে। মাতাল স্বামী তার স্ত্রী ও মেয়েকে প্রতিদিন মারধর করত। প্রতিদিনের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী। সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার জন্য স্বামীকে দায়ী করা হয়েছে। মেয়েকে পুলিশের চাকরিতে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল মৃতার।
এদিকে নিহতের মেয়ে ইক্ষা যা বললেন তা শুনে সবাই স্তম্ভিত। সে বলেছে, বাবা মাকে মেরেছে, পরে ফাঁসি দিয়েছে। মেয়ের বক্তব্যও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মেয়েকে পুলিশ অফিসার বানাতে চেয়েছিলেন মা:
মৃতা পাঁচ বছর আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে তাকে পুলিশ বানাতে চেয়েছিলেন, সে জন্য তিনি নিজে তাকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন, কিন্তু স্বামীর হয়রানির কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, আমি আমাদের মেয়েকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু হায়, আমরা আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতে পারিনি, আমাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের মেয়েকে পুলিশ বানানো। তাকে তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। আমাকে ক্ষমা করিস, আমি শুধু তোর জন্যই বেঁচে ছিলাম। এটি লিখে তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন।