মধ্যপ্রদেশের নিওয়ারি জেলার শান্তি দেবীর জীবনের ঘটনাবলী আপনাকে চমকে দেবে। তাঁকে চার বছর ধরে সরকারি কাগজপত্রে মৃত ব্যক্তি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং এখন ওই মহিলা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছেন। এই ঘটনাক্রমে, মঙ্গলবার, তিনি নিজের মৃত্যুরই শংসাপত্র নিজের হাতে নিতে নিওয়ারী কালেক্টরের অফিসে গণশুনানি চলাকালীন পৌঁছেছিলেন।
সূত্র অনুযায়ী ওই মহিলা কালেক্টরের সামনে হাতজোড় করে বললেন- ‘স্যার, আমি এখনও বেঁচে আছি’। কিন্তু কাগজে কলমে মৃত হবার কারণে তিনি কোনো প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি কালেক্টরের কাছে আবেদন করে বলেছিলেন যে ২০১৮ সালে, কর্মসংস্থান সহকারী ফারাহ নাজ তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এর পর থেকেই তিনি তার সমস্ত নাগরিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
শান্তি দেবী বলেন, ‘আমি বারবার ফারাহ নাজকে অনুরোধ করেছি যে আমি এখনও বেঁচে আছি। পারিবারিক আইডিতে আমার নাম যোগ করা হোক, কিন্তু তিনি আমার দাবিতে কোনো কর্ণপাত করেননি। তিনি বলেন “এমতাবস্থায়, চার বছর আগে চাকরি সহকারী যখন আমাকে মৃত ঘোষণা করেছেন, তখন আমাকে মৃত্যুর শংসাপত্র দিতেই হবে।”
এই পুরো বিষয়ে নিওয়ারির জেলা কালেক্টর তরুণ ভাটনাগর বলেছেন যে তিনি একজন জীবিত মহিলার দ্বারা ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগ পেয়েছেন। এসডিএম নিওয়ারি বিষয়টি তদন্ত করছেন। যারাই দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।