বাড়িতে নতুন অতিথির আসার খবর পেলেই চারিদিকে কেমন যেন তৈরি হয়ে যায় উৎসবের বাতাবরণ। হবু মা-বাবারা ভবিষ্যতের চিন্তা আর নতুন আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যেন দুনিয়াটাকে আরও সুন্দর করে তোলার চেষ্টা চলে নয়-দশ মাসের মধ্যে।
এই সময় হবু মায়ের শরীর এবং মনেও বদল আসে। দৈনিক রুটিনে বদল আসে। বারণ হয় ভারি কাজ করা। তাঁকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। সীমাবদ্ধতা শুরু হয় দৈনন্দিন জিম-যোগাসনে। একেবারেই বন্ধ ধূমপান কিংবা মদ্যপান। এমনকি বড়রা বলেন যে যৌনসঙ্গম করাও উচিত নয় এই সময় নাকি। যদিও আধুনিক চিকিৎসকরা এক মত নন এব্যাপারে। তাঁদের মতে এই সময় যৌনসঙ্গম সম্ভব নির্দিষ্ট সতর্কতা মেনে।
গর্ভধারণের পর মাস কয়েক যৌনকামনা বাড়ে মহিলাদের। সেই সময় সঙ্গম করলে তাঁরা তৃপ্ত হন শারীরিক এবং মানসিকভাবে। চিকিৎসকদের মতে, হবু মায়ের গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সঙ্গম করা যেতেই পারে, স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে। তবে পেটে যেন চাপ না পড়ে অবশ্যই।
আর সেই সময় যৌনসঙ্গমে পর মহিলাদের যোনি থেকে রক্তক্ষরণ হতে অনেক সময় দেখা যায়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তক্ষরণের অভিযোগ করেন ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ মহিলাই। ভয় পেয়ে যান। রক্তক্ষরণ যদি সামান্য বা ছিটেফোঁটা হয় তাহলে ভয়ের কিছু নেই তাতে । কিন্তু তখনই সাবধান অতিরিক্ত রক্তপাত হলে।
অনেক সময় আবার যোনি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ বা ইনফেকশনের কারণেও।
প্রেগন্যান্সির সময় যৌনসঙ্গমের জেরে সামান্য রক্তক্ষরণ ছাড়াও চুলকানি, রক্তাভ স্রাব নিঃসরণ, যোনিতে দাগ বা ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথা বা সামান্য লেবার পেইন হওয়ার উপসর্গও দেখা দেয়। আবার লেবার যন্ত্রণার সময় যোনি থেকে মিউকাস নির্গত হওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই।