আগেকার যুগে মানুষ প্রতিবেশীদের বিশেষ যত্ন নিত। তাদের মধ্যে এক ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আনন্দ এর দিনগুলো সবাই মিলে পালন করা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, প্রতিটি ব্যক্তি এতটাই ব্যস্ত হতে শুরু করে যে সে তার নিকট আত্মীয় এর সাথেই সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেনা। এমতাবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা তো দূরের কথা। লন্ডনে একটি বাড়ির ভিতরে বসবাসকারী এক বৃদ্ধ মহিলা দুই বছর আগে মারা যান। তার বাড়ির দরজায় চিঠির স্তূপ ছিল। তিনি দীর্ঘ সময় নিজের ঘর থেকে বাইরেও বেরোন নি। কিন্তু কেউ সেদিকে নজর দেয়নি।
সাউথ ইস্ট লন্ডনের পেকহামে বসবাসকারী শীলা সেলভয়ের মৃতদেহ তার ফ্ল্যাটের মেঝে থেকে পাওয়া গেছে। মৃতদেহটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছিল এবং শুধু হাড়ের কাঠামো অবশিষ্ট ছিল। তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছে যে তারা ২০১৯ সালের আগস্ট এর পর থেকে মহিলাটিকে দেখেনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছর আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জল্পনা চলছে। তার বাড়ির গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও তার বাড়িওয়ালা তার কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে থাকে।
দ্য মিরর-এর খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে শীলা নামের ওই মহিলাকে আর দেখা যায়নি। বাড়ির বাইরে পড়ে থাকা চিঠির স্তূপ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও ভাড়া আদায় করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে প্রতিবেশী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুললে ভেতরে ৬১ বছর বয়সী এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে। মৃতদেহ শুকিয়ে গিয়েছিল এবং শুধু হাড়ের কাঠামো অবশিষ্ট ছিল।
মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি:
মহিলার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে যায়নি। পুলিশ জানায়, লাশটিতে খুবই পচন ধরেছে। দাঁতের পরীক্ষায় জানা গেছে, লাশটি এক নারীর। একই সময়ে, বাড়ির রেফ্রিজারেটর চেক করা হলে তাতে রাখা বেশিরভাগ জিনিসপত্র ২০১৯ সালের আগস্টেরই বলে জানা যায়। এতেই প্রমাণিত হয় যে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তার পরে। যাইহোক, বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কেন তিনি পুলিশে অভিযোগ নথিভুক্ত করেননি যখন ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে তার অবস্থান জানা যায়নি। পরিবর্তে তিনি প্রতি মাসে ভাড়া কেটে নিচ্ছিলেন।