বিহারের নালন্দা জেলার সদর শহর বিহারশরিফে একটি হোটেল রুমে অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক প্রেমিক যুগলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দুজনের মৃতদেহ একসঙ্গে পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরে পুলিশ জানতে পারে যে নিহত ছেলেটির নাম রকি কুমার। সে নওয়াদা জেলার কাশিচক থানার অন্তর্গত মাধেপুর গ্রামের বাসিন্দা টুনা মাহতোর ছেলে। বয়স ২০ বছর। এবং মৃত কিশোরীর নাম সোনম কুমারী (বয়স ১৭ বছর)। সে লক্ষীসরাই থানার অন্তর্গত জোগিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমর পাসোয়ানের বছরের মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে থাকার সময় ওই কিশোর লেখাপড়া করত।
গেস্ট হাউসের তত্ত্বাবধায়ক জানান, মঙ্গলবার সকালে বারান্দায় গাছে জল দেওয়ার সময় মৃতদের পাশের ঘরে থাকা ছেলেটি অভিযোগ করেন, পাশের ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসছে। লোকজন রুম খুলতে গেলে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। আওয়াজ করার পরও ভেতর থেকে কোনো নড়াচড়া দেখা যায়নি, পরে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় দুজনেই মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানা গেছে যে প্রেমিক দম্পতি সোমবার সকাল ১১টায় টায় রুম বুক করেছিলেন এই বলে যে তারা তাদের ট্রেন মিস করেছেন। ছেলেটি বলেছিল, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে ট্রেন ধরতে হবে। ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পকেটে পাওয়া পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে দুজনকেই নওয়াদা ও লক্ষীসরাইয়ের বাসিন্দা বলে শনাক্ত করা হয়েছে। বিহারের এসএইচও সন্তোষ কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি প্রেমের সম্পর্ক বলে মনে হচ্ছে।
বর্তমানে দুজনের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিশোরী পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মধ্যপুরা হাইস্কুলে পড়াশোনা করত, যেখান থেকে সে ৭ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় কুলচি থানায় এক কিশোর নিখোঁজের মামলাও রয়েছে। স্বজনদের আসার অপেক্ষায় পুলিশ। স্বজনরা আসার পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।