প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ পেরিয়ে এসে এখন আমরা আধুনিক বিশ্বের মানুষ। কিন্তু আজও বিশ্বজুড়ে চলছে এমন একাধিক প্রথা যেগুলি মধ্যযুগিয় রীতিনীতির থেকেও অদ্ভুত। এরকম অনেক ধরনের কুপ্রথা আছে, যার সম্পর্কে জেনে খুব অবাক লাগে। কারণ আমরা আমাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী সেসব প্রথা দেখলে অবাক লাগতে বাধ্য। আজ আমরা আপনাকে এই প্রতিবেদনে ঠিক এমনই একটি প্রথা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা শুনলে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হবেন। আসলে পৃথিবীতে এমন একটি সম্প্রদায় আছে যেখানে কন্যার স্বামী হয় তার পিতা। হ্যাঁ, আপনি এটা একদম সঠিকই শুনেছেন। এখানে মা ও মেয়ের একজনই স্বামী হয়।
একটি সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে মাধোপুর বনে এই সম্প্রদায়ের বসবাস। এই সম্প্রদায়টি উপজাতীয়দের অধীনে আসে এবং যার নাম ‘মান্ডি’। জানা গিয়েছে মান্ডি সমাজের অধিকাংশ মানুষ বর্তমান সময় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এখানে নারীরা পরিবার শাসন করে। সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী কোন ও মহিলার স্বামী কম বয়সে মারা গেলে, তাকে বিয়ে দেওয়া হয় অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে। এর পেছনে কারণ হিসাবে তারা দেখান যে কম বয়সী পুরুষটি তার দুই স্ত্রী অর্থাৎ মা এবং মেয়ের দু’জনকেই স্বামী হিসেবে লম্বা সময় ধরে সুরক্ষা দিতে পারবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভাস্করে প্রকাশিত একটি পুরানো খবর অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা বলেন, “আমাদের প্রিয়জনের জন্য কিছু করতে হবে। কারণ আমাদের প্রিয়জনের সম্পত্তি বাঁচাতে হবে। বাবার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে সেই কথার গুরুত্ব চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে।”
মান্ডি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই প্রথা চলে আসছে। যদিও বাবার সাথে বিয়ের ব্যাপারেও দ্বিমত রয়েছে। অনেক মেয়েই এই কুপ্রথা থেকে পালাতে চায়। অনেক মেয়ের জীবনে এই কারণে ভুল প্রভাব পড়ে। এর জন্য তাদের জীবন নষ্ট। তবে এখন ধীরে ধীরে এই কুপ্রথা নির্মূল হচ্ছে, কারণ নতুন যুগের মেয়েরা এই রীতিকে সঠিক বলে মেনে নিচ্ছে না এবং এর বিরোধিতা করছে।