বছর ছয়েকের বিবাহিত জীবন। দুটি সন্তানও রয়েছে। যদিও সেই বৈবাহিক সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্তি চলছিল পিন্টু ও রুম্পা সর্দারের। অশান্তি এতই তুঙ্গে উঠলো যে স্বামী তার স্ত্রীকে খুন করে ফেললেন। এরপর নিজেই থানার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। নিজেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেও ফেললেন। এই ঘটনাটি শনিবার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার আয়েশাবাগ থানা অঞ্চলে ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে ,ওই মৃতার নাম রুম্পা সর্দার। তার স্বামী পিন্টু একজন কৃষক। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বেশ অনেক দিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। পিন্টুর সাথে খুব ঝগড়া হওয়ায় একদিন এরমধ্যে নিজের বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন রুম্পা। এই ব্যাপারে বেশ অনেকবার তাদের পাড়ায় শালিসি সভা বসেছিল। যদিও স্ত্রী আর বাড়ি ফিরতে রাজি হননি। সেই রাগেই নিজের শশুড়বাড়ি বহুবার গেছেন পিন্টু।
অবস্থা ভালো নেই তা বুঝে গিয়েছিলেন রুম্পা। তাই বাড়ি ছাড়েন তিনি, পালিয়ে যান সেখান থেকে। পিন্টু তাকে ধাওয়া করে। এরপর এক ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রচন্ড জোরে কোপাতে থাকে পিন্টু । রক্তাক্ত হয়ে যায় রুম্পার সারা শরীর। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তার।
স্ত্রীকে খুন করে, চুপ করে যায় পিন্টু, এরপর ৬কিলোমিটার হাঁটা পথ পেরিয়ে থানায় যান তিনি। নিজে থেকেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। খুনের সময় ব্যবহার করা অস্ত্রটিও তুলে দিয়েছেন পুলিশের হাতে । স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিজের দিদিকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন রুম্পার ভাই প্রসেনজিৎ মাল, কিন্তু জামাইবাবুর আক্রমণের মুখে পড়ে তিনিও গুরুতর জখম হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, অভিযুক্ত নিজেই অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন থানায়। বাকি তদন্ত এখনও চলছে।