মহারাজগঞ্জ জেলায় এলাকার সম্পর্কে জামাইবাবু এক ব্যক্তি ফোনে পাড়াতুতো শ্যালিকাকে তাকে একটি কিস দিতে বলেন। এতে শ্যালিকা এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তিনি থানায় গিয়ে জামাইবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এখন পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গ্রামে, ফোনে চুমু চাওয়াটা বেশ জটিলতার সৃষ্টি করে এক যুবকের জন্য। জামাইবাবুর এই কর্মকাণ্ডে সালাহজেন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কালেক্টরেট পুলিশ চৌকির মহিলা ইনচার্জ বিষয়টি তদন্ত করছেন।
নির্যাতিতা জানায়, ঘটনাটি সে প্রথমে তার বোনকে জানায়। তারপর তার কাকা কে তার এই কাজের কথা জানান। এতে জামাইবাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। এরপরই ওই মহিলা থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মহিলা তার অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে তার কাছে। নাম ও ফোন করার কারণ জিজ্ঞেস করলে সেই অপরিচিত নম্বরের ওপাশ থেকে এক যুবক বলে আগে একটা চুমু দাও, তারপর নিজের নাম বলবে। যুবককে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন ওই মহিলা। এরপর ওই যুবক একাধিকবার ফোন করলে প্রতিবারই অশ্লীল কথা বলতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর ওই নারীর ননদের মোবাইলে একই নাম্বার থেকে ফোন করে তার সঙ্গে অশ্লীল কথা বলেন কেই। এরপরেই তারা অভিযোগ জানায়। তদন্তে দেখা গেছে, ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই মহিলার সঙ্গে একই গ্রামে বাস করতেন এবং প্রতিবেশী হিসাবে ওই যুবক মহিলার জামাইবাবু হন। এর পরে, মহিলা তার ভগ্নিপতিকে নিয়ে যুবকের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে এবং তার স্ত্রী ছাড়াও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের যুবকের এহেন কাজের কথা জানায়। অভিযুক্তের স্ত্রী এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে উল্টে রেগে যান এবং কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে শেষ অব্দি নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।